ট্রাম সম্প্রসারণের চিন্তা ভাবনা নেই রাজ্যের ট্রামকে হেরিটেজ হিসেবেই দেখা হচ্ছে তাই যেখানে রাস্তা চওড়া শুধুমাত্র সেই রুটেই ট্রাম চালানো হবে

নিজস্ব সংবাদদাতা : আপাতত অল্পেতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ট্রাম প্রেমীদের। ধীর গতির যান হওয়ায় যানজটের আশঙ্কা থাকে। তাই আপাতত ট্রাম সম্প্রসারণের চিন্তা ভাবনা নেই রাজ্যের। ট্রামকে হেরিটেজ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তাই যেখানে রাস্তা চওড়া শুধুমাত্র সেই রুটেই ট্রাম চালানো হবে। তারমধ্যে অন্যতম ধর্মতলা থেকে খিদিরপুর রুট। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একথা জানিয়ে দিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক দেবাশিষ কুমার পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কে প্রশ্ন করেন “কলকাতা শহরে ট্রামের রুট সম্প্রসারণ হবে?” তার উত্তরে এ কথা বলেন মন্ত্রী। পরে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দেবাশিষ কুমার বলেন, “আজ যেভাবে দূষণের পরিমান বাড়ছে। তাতে পরিবেশ বান্ধব যান হিসেবে আমরা ট্রামকেই জানি। সেইজন্য ট্রামের রুট যদি বৃদ্ধি হয় তাহলে সেটা পরিবেশের সহায়ক হবে। তাই কলকাতায় পরিবহন মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম ট্রাম রুট বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা কী আছে?”পরিবহন মন্ত্রীর ব্যাখ্যা “যা চলছে তাই চলবে। কারণ এমন এমন জায়গায় কলকাতায় ট্রাম চলে, যেখানে যানজটের আশঙ্কা থাকে। আমরা যানজট মুক্ত জায়গা দিয়ে ট্রাম নিয়ে যাব। যেমন চিৎপুর রোড, এখানে ট্রাম সার্ভিস হলে সারাদিন জ্যাম হয়ে থাকবে। আর এখন যেহেতু কলকাতায় গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে এখানে ট্রাম চালালে যানজট হবেই। তবে কিছু কিছু জায়গায় নিশ্চিত ভাবে আমরা ট্রাম রাখবো যেখানে যানজট হবে না। যেমন ধরুন খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা। এ রকম কতোগুলো জায়গা যেখানে রাস্তা চওড়া আছে এক সাইড দিয়ে ট্রাম যাবে সেখানে ট্রাম রাখব।”
কলকাতার সেরা আকর্ষণগুলোর মধ্যে ট্টাম অন্যতম। ঐতিহ্য হোক বা আবেগ ট্রাম নিয়ে কলকাতার মানুষের মধ্যে কোথাও যেন একটা গর্ব লুকিয়ে থাকে। তবে সময় বদলেছে গতি বেড়েছে শহরের। সেই তুলনায় বাড়েনি রাস্তা। তাই সময়ের সাথে চলতে গিয়ে ট্রাম লাইন অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে। হেরিটেজ হিসেবে কিছুটা থাকলেও সেটাতেই স্বাদ পূরন করতে হবে। তবে অনেকেই মনে করেন যে নিত্য যাত্রীদের জন্য না হলেও পর্যটকদের জন্যেও ট্রাম রাখা যেতে পারে। ছুটির দিনেও এটা চালানো যেতে পারে। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখতে পারে কলকাতার সুন্দরীকে।