|
---|
সুপ্রিম কোর্ট এবার কেন্দ্র কে তলব করল কৃষি বিল নিয়ে
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আইন নিয়ে সোমবার কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ জারি রয়েছে। বিশেষ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় আন্দোলন বড় আকার নিয়েছে। এই আইনকে ‘কালা আইন’ বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি।
বিরোধীরা একজোট হয়ে এই আইনের প্রতিবাদ করছে। শুধু তাই নয়, এই আইনের প্রতিবাদ জানাতে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে শিরোমণি অকালি দল। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার তার শুনানি ছিল। সেইমতো এ দিন এই আইন নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে নোটিশ পাঠিয়ে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। জবাব দিতে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সম্প্রতি শেষ হওয়া বাদল অধিবেশনে তিনটি নয়া কৃষি বিল পাস করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাতে সই করায় বিলটি আইনে পরিণত হয়। বিরোধীরা রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছিলেন বিতর্কিত এই বিলে সই না করার জন্য। কিন্তু রাষ্ট্রপতি বিরোধীদের আর্জিতে সাড়া না দিয়ে বিলে সই করেন। এরপর এই নয়া কৃষি আইনকে চ্যালেঞ্জ করে তিনটি পিটিশন দাখিল হয় সুপ্রিম কোর্টে।
এ দিন তার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে কেন্দ্রের তরফের আইনজীবী তথা অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে ওই আবেদনগুলির উপযুক্ত উত্তর দাখিল করতে বলেছেন। পিটিশনকারীদের বক্তব্য, কৃষি আইন কার্যকর হলে কৃষকরা তাঁদের জমি, শস্য হারাবেন। কৃষকদের স্বাধীনতাও খর্ব হবে।
কৃষকরা কর্পোরেটদের হাতে কার্যত অলিখিত ‘ক্রীতদাস’-এ পরিণত হবেন। কৃষকদের সমস্ত কিছুর দূল নিয়ে নেবে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। আদালত অবশ্য আবেনের এই বক্তব্যগুলির মধ্যে গুরুতর বা বড় কোনও কারণ খুঁজে পায়নি। আইনের পরিভাষায় যাকে বলে ‘কজ অফ অ্যাকশন’। আদালতের বক্তব্য, তারা আবেদনকারীর বক্তব্যে কোনও ‘কজ অফ অ্যাকশন’ খুঁজে পায়নি।
যদিও আদালত এও জানিয়েছে, তারা পিটিশনগুলি ূারিজ করছে না, বরং পিটিশন প্রত্যাহার করে নতুন করে আবেদন করতে বলছে তিন পিটিশনকারীকে। পিটিশনকারীদের অন্যতম ছত্তিশগড় কিষান কংগ্রেস তাদের আবেদন জানিয়েছে, মান্ডি ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যে যে নিয়ম বহাল আছে, তাকে ব্যাহত করবে কেন্দ্রের এই কৃষি আইন। এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির হাইকোর্টের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন।