দেগঙ্গায় এক ব্যক্তির বাড়িতে হদিশ মিলল ট্যারেন্টুলার বারাসত বন দফতরের তরফে ট্যারান্টুলাটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়

নিজস্ব সংবাদদাতা : দেগঙ্গায় এক ব্যক্তির বাড়িতে হদিশ মিলল ট্যারেন্টুলার। আর সেটি বোতলবন্দি করলেন ওই বাড়িরই গৃহকর্ত্রী। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও ওই বিষাক্ত ট্যারেন্টুলা কাউকে কামড়ায়নি বা কেউ স্পর্শ করেননি। তবে এই ঘটনার জেরে ট্যারেন্টুলা-আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বন দফতর সূত্রে খবর, দেগঙ্গার কার্তিকপুর এলাকার বাসিন্দা অনুপ নন্দীর বাড়িতে ফুলের গাছ সংলগ্ন মাটির ভিতর থেকে একটি ট্যারেন্টুলা ধরা পড়ে। বারাসত বন দফতরের তরফে ট্যারান্টুলাটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এটি অস্ট্রেলিয়ান ট্যারান্টুলা বলে জানিয়েছেন বনকর্তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুপ নন্দীর স্ত্রী ডলি নন্দী বাড়িতে গাছ পরিচর্যা করেন। অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকালেও ফুলের গাছ পরিচর্যা করতে যান ডলিদেবী। সেই সময়ই বাড়ির মধ্যে উঠোনের মাটি খুঁড়তে গিয়ে লোমযুক্ত কালো রঙের অদ্ভুত ধরনের একটি বড় মাকড়সা দেখতে পান ডলিদেবী। অদ্ভুত ধরনের বড় মাকড়সাটি দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর ডলি নন্দীর ছেলে অরিজিৎ নন্দী গুগল ঘেঁটে মাকড়সার ছবি দেখে জানতে পারেন, এটি বিদেশি ট্যারেন্টুলা। অরিজিৎ নন্দীর কথায়, “গুগলে ট্যারেন্টুলার ছবি ঘেঁটেই জানতে পারি, এটি বিদেশি ট্যারেন্টুলা। এটির কামড়ালে এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না হলে প্রাণহানিও ঘটতে পারে।” বাড়ির মধ্য থেকে বিদেশি ট্যারেন্টুলা ধরা পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নন্দী পরিবারে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বারাসত রেঞ্জের বন দফতরে। কিন্তু বন দফতরের কর্মীরা আসতে দেরি করায় ডলি নন্দী নিজেই ঝুঁকি নিয়ে ট্যারেন্টুলাটি বোতলবন্দি করেন। পরে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্যারেন্টুলাটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এদিকে, বাড়ির ভিতর থেকে ট্যারেন্টুলা উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় কার্তিকপুর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।