|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : দুর্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় (Durgapur Engineering Student Death) সামনে আসছে খুনের তত্ত্ব! মৃত ছাত্রের পরিবারের প্রশ্ন, তালাবন্ধ ঘরে কীভাবে কেউ ঢুকে আত্মহত্যা করতে পারে? যদিও হস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, আত্মহত্যাই করেছেন সৌরভ কুমার।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাইনের ছাত্র সৌরভ কুমারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সৌরভ, বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। গত ২২ অগস্ট শেষবার তাঁকে দেখেছিলেন তাঁর বন্ধুরা। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন।বৃহস্পতিবার কলেজ হস্টেলের চারতলার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় সৌরভের পচাগলা দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ঘর থেকে সৌরভের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই ঘর তালাবন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তালা খুলতেই সৌরভের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান আবাসিকরা।প্রশ্ন উঠছে তালাবন্ধ ছিল রুম। তবে কীভাবে সেখানে পড়ুয়া পৌঁছল? কেইবা তালা লাগাল ওই ঘরে? প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ওই পড়ুয়া গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন (Durgapur Engineering Student Death)। পুলিশের এই কথায় সায় দিয়েছে কলেজ কতৃপক্ষও। কিন্তু তা নিয়েও প্রশ্ন জাগছে একঝাঁক।
যাদবপুরের ঘটনার ছায়া থেকে কি বাঁচাতেই এই আত্মহত্যার গল্প ছড়ানো হচ্ছে? কীভাবে তালা বন্ধ ঘরে এক ছাত্র আত্মহত্যা করতে পারে? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি কলেজের ডিন অফ স্টুডেন্ট রাজদীপ রায়। তাঁর কথায়, তদন্তের প্রয়োজন আছে।
এদিকে, সৌরভের বাবা সুরেন্দ্র কুমার একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, কলেজ কতৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। কলেজ কতৃপক্ষ তাঁর ছেলের মৃত্যুর খবর তাঁদের দেয়নি। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়েছেন তাঁরা। এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে আমার ছেলে কীভাবে আত্মহত্যা করবে? আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।’
এমনকী এই ঘটনার পেছনে রয়েছে রীতিমতো যড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বলে অভিযোগ মৃত পড়ুয়ার বাবার। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ তার ছেলের নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। যদিও কলেজ কতৃপক্ষ অভিভাবকের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শুক্রবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে কলেজ পড়ুয়ার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের পরেই এই মৃত্যু রহস্যের ওপর আলোকপাত করা সম্ভব হবে।