রাজ্যের বেশ কিছু রুটে এসি  ও নন এসি  মিলিয়ে মোট ১০০টি সরকারি বাস নামাচ্ছে পরিবহণ দফতর

নিজস্ব সংবাদদাতা : পুজোর মুখে কলকাতা-সহ  রাজ্যের বেশ কিছু রুটে এসি  ও নন এসি  মিলিয়ে মোট ১০০টি সরকারি বাস নামাচ্ছে পরিবহণ দফতর । পুজোর পর আরও ১২০টি বাস রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে সেগুলি চালানো হবে PPP মডেলে। পাশাপাশি, বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিতেও এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পরিবহণ দফতর। খামখেয়ালি ভাড়া থেকে পথে বেরোলে বাসের আকাল, লোকাল ট্রেনের পর, রাজ্যের অন্যতম গণপরিবহণের এই মাধ্যম নিয়ে যাত্রীদের এমন অভিযোগ নিত্যদিনের। এই পরিস্থিতিতে, পুজোর মুখে সুখবর শোনাল রাজ্যের পরিবহণ দফতর।

     

    সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু রুটে এসি ও নন এসি মিলিয়ে মোট ১০০টি সরকারি বাস নামাচ্ছে পরিবহণ দফতর। তবে এর জন্য নতুন কোনও বাস কেনা হচ্ছে না। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের হাতে বর্তমানে ২ হাজার ২৬৯টি সরকারি বাস আছে। যার মধ্যে এখন প্রায় ১৮০০ বাস নিয়মিত পথে নামছে। বাকি সাড়ে চারশোর বেশি বাসের থেকে পুজোর আগে ১০০টি বাস নামানো হবে বিভিন্ন রুটে।

     

    যে রুটগুলিতে নতুন এই এসি বাসগুলি নামবে, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গড়িয়া থেকে রুবি-নিউটাউন হয়ে এয়ারপোর্ট। বেলঘরিয়ার রথতলা থেকে বিটি রোড, এমজি রোড হয়ে হাওড়া স্টেশন। সাপুরজি থেকেও হাওড়া স্টেশনগামী বাস যাবে নিউটাউন, চিংড়িহাটা, এসপ্লানেড হয়ে। এছাড়াও রয়েছে বারাসাত-আসানসোল, করুণাময়ী-আসানসোল, হাবড়া-দিঘার মতো রুটও। অন্যদিকে, নন এসির তালিকায় আছে জোকা-বারাসাত, শ্রীরামপুর-দিঘা, টালিগঞ্জ-মধ্যমগ্রামের মতো বেশ কিছু রুট।

     

    পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এদিন বলেন, ‘মানুষ যাতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্বচ্ছন্দে যেতে পারেন, পুজোর কেনাকাটা করতে পারেন এবং পুজোর মধ্যেও শহরের সঙ্গে শহরতলির যোগাযোগ যাতে আরও ভাল হয়, সেই কারণে পুজোর মধ্যেই নতুন করে আরও ১০০ বাস আমরা রাস্তায় নামাচ্ছি।’

     

    এদিকে, পুজোর পর আরও ১২০টি বাস রাস্তায় নামাবে পরিবহণ দফতর। তবে সেগুলি PPP মডেলে চালানো হবে। অর্থাৎ সরকারি বাস, অথচ চালাবে বেসরকারি সংস্থা। বাস চালিয়ে আয়ের একটা অংশ সরকারকে দেবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিতেও এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পরিবহণ দফতর।

     

    পরিবহণ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে এবং আমাদে এনফোর্সমেন্টও থাকবে যাতে ভাড়া লাগামছাড়া না হয়, মানুষের ওপর চাপ না পড়ে। বাসভাড়া নিয়ন্ত্রণ করবে রাজ্যসরকার।’বাস নামানোর পাশাপাশি, বাণিজ্যিক গাড়িতে এবার ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানো বাধ্যতামূলক করছে পরিবহণ দফতর। ফলে এই গাড়িগুলির যাবতীয় তথ্য থাকবে পরিবহণ দফতর ও পুলিশের কাছে। যার জেরে আগামী দিনে অপরাধ হলে অভিযুক্তদের ধরা অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।