যক্ষ্মামুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যভবনের মুখ রক্ষা করল রাজ্যের দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা : যক্ষ্মামুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যভবনের মুখ রক্ষা করল রাজ্যের দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়ে সোনার মেডেল পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। ব্রোঞ্জের মেডেল পেয়েছে নদিয়া। ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত দেশ গড়তে চায় কেন্দ্র সরকার। তার আগে দেশের কোন রাজ্যের কোন কোন জেলা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পেরেছে তা খতিয়ে দেখতে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সোমবার সেই প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশ হয়। তাতেই দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুর পেয়েছে সোনা, ব্রোঞ্জ পেয়েছে নদিয়া। আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লির বিজ্ঞানভবনে পদকপ্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার।

    এই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের মতে রাজ্য সরকার ‘টিবি মুক্ত বাংলা’ গড়ার যে শপথ নিয়েছে এই স্বীকৃতিতে তার প্রথম ধাপ। আইসিএম‌আর, চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন, ডব্লিউএইচ‌ও (ভারত) যৌথভাবে এই সমীক্ষাটি করেছিল। যক্ষ্মা নির্মূলে সোনার পদক পেয়েছে জম্মু কাশ্মীরের তিনটি জেলা। রয়েছে কেরলের দু’টি, বাংলার ১টি, মধ্য প্রদেশের ১টি, মহারাষ্ট্রের ১টি।২০২০-২১ সালে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। ২১ মার্চ ন্যাশনাল হেলথ মিশন তারই ফল ঘোষণা করেছে। মূলত তিনটি বিষয়কে মাপকাঠি হিসাবে রাখা হয়েছিল এই সমীক্ষার ক্ষেত্রে। যক্ষ্মা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সমীক্ষকরা। পাশাপাশি ময়দানে নেমে বিষয়টি খতিয়েও দেখেন তাঁরা। রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে যক্ষ্মার ওষুধ ব্যবহারের মাত্রাই বা কী তাও খতিয়ে দেখা হয়। তা ছাড়া জেলাস্তরে এই রোগীর সংখ্যার রিপোর্টও নেওয়া হয়েছে। এর নিরিখেই সোনা, রুপো ও ব্রোঞ্জ প্রাপকদের জেলাওয়াড়ি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।