১৩টি মুসলিম দেশকে আর নতুন করে ভিসা দেবে না আরব আমিরশাহী

১৩টি মুসলিম দেশকে আর নতুন করে ভিসা দেবে না আরব আমিরশাহী

     

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: ইসরাইলের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়লেও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে দূরত্ব ক্রমেই বাড়াচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ১৩টি মুসলিম দেশকে তারা আর নতুন করে ভিসা দেবে না বলে জানিয়েছে। চাকরি বা কর্মসূত্রে অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ওই মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকরা আমিরশাহীর ভিসা পাবেন না। এই মর্মে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সে দেশের সরকার। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ইরাক, লেবানন, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া। তালিকায় একমাত্র অমুসলিম দেশ হল কেনিয়া। অনেকের মতে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্প্রতি বিতর্কিত চুক্তির পর মুসলিম দেশগুলোকে ভিসা না দেওয়ার বিষয়টি বেশ তাৎপর্যবাহী।

    ইসরাইল-আমেরিকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইদানিং ঘন ঘন আমিরশাহী সহ আরব দেশগুলোয় সফর করছেন। তাঁদের অঙ্গুলি হেলনেই ভিসা স্থগিত হতে পারে। অভিবাসী মন্ত্রকের তরফে এই স্থগিতাদেশ বা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে গত ১৮ নভেম্বর থেকেই। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ লাগু থাকবে। তবে দেশটির ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ বিভাগ এ ব্যাপারে কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে।

    অন্য এক সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে এই সাময়িক স্থগিতাদেশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকরা কর্মসূত্রে কিংবা ভ্রমণে গেলে আমিরশাহীর নিরাপত্তায় কেন ঘাটতি হবে। বরং ইসরাইলিরা গেলে অশান্তির ছক কষতে পারে। বিশেষ করে তাদের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ তো মুসলিম বিশ্বে যত অশান্তির মূলে। এর ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। কোনও মুসলিম দেশের নাগরিক আমিরশাহীর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে এমন কোনও নজির নেই। তবে ইতিমধ্যেই যাদের কাছে ভিসা রয়েছে, তাদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।

    উল্লেখ্য, ২০ জানুয়ারি আমেরিকায় পালাবদল বা ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে আমিরশাহী সহ আরব দেশগুলোতে মাঝেমধ্যেই যাবেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী, মোসাদকর্তা প্রমুখ ভিভিআইপি। তাই তাঁদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্যই মুসলিম দেশগুলোকে নতুন ভিসা দিতে সাহস করছে না দেশটি।