মেদিনীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু মুগের জিলিপি ও পাটিসাপটা খেয়ে আপ্লুত ইউনেস্কো প্রতিনিধি দল

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক:ঐতিহ্যবাহী তাম্রলিপ্ত ময়ূর রাজবংশ আয়োজিত এবং ইউনেস্কো গোয়ানজু চেনম আ্যসোসিয়েন, কোরিয়ার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত দুই দিন ব্যাপি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর আগমনের ৮৫ তম বার্ষিকী পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, বাংলাদেশ তথা সারা ভারতের প্রায় দেড়শ জন প্রতিনিধি।

    উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রথম দিনের সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুরুলিয়ার ছৌ নাচ ও কোরিয়ান সংগীত যেমন ছিল তেমনি গ্রীন ও সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা ছিল। ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউট অফ আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ নামক পরিবেশ গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রীন ও সুস্বাদু খাবার আয়োজন করা হয়। মূলত অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের বেলকী গ্রামের মিষ্টি প্রস্তুত কারক শ্রীকান্ত সাঁতরার গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরি মুগের জিলিপি ও মোচার চপ পরিবেশন করা হয়।

    সেই সঙ্গে মেদিনীপুর থেকে গৃহবধূ পায়েল পালের নিজ হাতে গড়া ঘি দিয়ে তৈরি পাটিসাপটা এবং ঘুঘনি পরিবেশন করা হয়। খাবার পরিবেশন করতে মাটির পাত্র সতেজ কলাপাতর প্লেট, সবুজ শালপাতার বাটি ও তালপাতার চামচ ব্যবহার করা হয়। ইউনেস্কোর ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এই ধরনের গ্রীন ও সুস্বাদু খাবার খেয়ে তাঁরা সবাই খুশি। রাজপরিবারের সদস্য তথা তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান ড. দীপেন্দ্রনারায়ন রায় ও রাণী মা নন্দিনী দেবী বলেন এই ধরনের মেদিনীপুরের আদি মুখরোচক ও সুস্বাদু খাওয়ার আমাদের এই অনুষ্ঠানে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সংস্থার সম্পাদক অধ্যাপক প্রণব সাহু বলেন আমাদের চিরাচরিত এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলি বিশুদ্ধ, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে বিদেশী ও দেশীয় প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা এবং পরিবেশন করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।