|
---|
বিধানসভায় পাশ হয়েছে গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল৷ পরিকল্পনা মতোই শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিধানসভায় বিলটি পেশ করে রাজ্য সরকার৷ জবাবি ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গণপিটুনি মানবতার অবক্ষয়৷ রাজস্থান বিল আনলেও, তা পাশ করাতে পারেনি৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আমরা করেছি৷ আজ গোটা দেশকে পথ দেখাল পশ্চিমবঙ্গ৷ গত ২৫/০৭/২০১৯ তারিখে কলকাতা রবীন্দ্রসদনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি হযরত মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সাহেব পশ্চিমবঙ্গ সহ সমস্ত রাজ্যে মবলিঞ্চিং রোধে আইন প্রণয়নের জোরালো দাবি জানাই।
এছাড়াও ০৫/০৮/২০১৯ তারিখে দিল্লি তালকটোরা স্টেডিয়ামে সর্ব ভারতীয় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভায় মবলিঞ্চিং রোধে আইনা প্রণয়নের দাবি জানান। জানা গেছে, জীবনের অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষার্থে, এই বিলটি আনে রাজ্য সরকার৷ বিলে অপরাধের মান অনুযায়ী শাস্তিকে তিন পর্যায়কে ভাগ করা হয়েছে৷ সূত্রের খবরে শাস্তিস্বরূপ বলা হয়েছে, গণপিটুনির ঘটনায় কোনও একজন বা একাধিক ব্যক্তি আহত হলে, অভিযুক্তের তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হবে৷ অথবা ১ লক্ষ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে৷ প্রয়োজনে দুটোই হতে পারে৷ যদি আঘাত খুব গুরুতর হয়, তবে অভিযুক্তের যাবজ্জীবন অথবা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷ সঙ্গে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক জরিমানা হতে পারে৷ এবং শেষে গণপিটুনিতে কারও মৃত্যু হলে বা মেরে ফেলার উদ্দেশেই পেটানো হলে, অভিযুক্তের আজীবন সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে৷ এছাড়া ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে৷