|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ স্ত্রী। ঘটনা হুগলি জেলার চন্দননগরে । আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হলেও অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার না করার অভিযোগ করেছেন গৃহবধূ বনশ্রী হাজরা। আজ সেই মামলায় গোপন জবানবন্দি দিতে চন্দননগর আদালতে আসেন বনশ্রী হাজরা। তাঁর অভিযোগ, নিজের প্রথম বিয়ে লুকিয়ে আসরাফ আলি মোল্লা তাঁকে বিয়ে করেন ২০১৬ সালে। অভিযুক্ত আসরাফ পুরশুড়া থানায় কর্তব্যরত ছিলেন। পরে ঘটনা জানাজানি হয়ে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।স্থানীয় সূত্রে খবর, বনশ্রী দেবী প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর তাঁর স্বামী কথা বলার নাম করে পুরশুড়া থানায় (Pursura Police Station) ডেকে পাঠায়। সেখানে মহিলাকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। নিগ্রহের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ফের সিঙ্গুর থানায় (Singur Police Station) একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে সেই মামলার শুনানি চলছে চন্দননগর আদালতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশ অফিসার স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেছিলেন বনশ্রী দেবী। তারপর থেকেই শুরু হয় হুমকি, ভয় দেখানো। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে থানায় দেখা করতে ডেকে বালিশ চাপা দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। তাঁর স্বামী অর্থাৎ ওই পুলিশ অফিসারের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গেলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, নিজের প্রথম বিয়ে লুকিয়ে আসরাফ আলি মোল্লা তাঁকে বিয়ে করেন ২০১৬ সালে। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হয় পরের বছর।২০১৮ সালে তিনি জানতে পারেন আসরাফ আলি বিবাহিত এবং তাদের আগের পক্ষের সন্তান আছে। এরপর বেশ কিছুদিন তাঁদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। টাকা দিয়ে মিউচুয়াল ডিভোর্স করার কথা থাকলেও সেই কথা রাখেননি আসরাফ আলি। এরপর সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বনশ্রী। সেই মামলার গোপন জবানবন্দি দিতে আজ চন্দননগর আদালতে আসেন বনশ্রী।তিনি বলেন, তার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে এর বিচার চান তিনি। তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, তাঁর স্বামী আসরাফ আলি পুরশুড়া থানার ওসি ছিলেন। এই ঘটনা সামনে আসতেই তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ চন্দননগর আদালতে জবানবন্দি না হওয়ায় আগামী তিন তারিখ আবার আসতে হবে বনশ্রী হাজরাকে।