|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:-পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাড়ি ছেড়ে তামিলনাড়ুতে গিয়েছিলেন যুবক। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন আরও কয়েকজন। সেখানেই মৃত্যু হল ওই যুবকের। শুধু তাই নয়, তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই সহকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরাও পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা। অভিযুক্তরা মৃতের বোনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ।মৃত শ্রমিকের নাম সুব্রত হাজরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের গঙ্গাসাগরের ধসপাড়া মনসা মোড়ের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। কাজের জন্য তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের গিয়েছিলেন তিনি। মাস দুয়েক আগে ভিনরাজ্যে ঠিকাশ্রমিকের কাজ করতে যান। অবশ্য সুব্রত একা যাননি। সুব্রত সঙ্গে কাজের খোঁজে চেন্নাই গিয়েছিলেন তাঁর বোন টুম্পা হাজরাও। তাঁদের সঙ্গেই চেন্নাইয়ে একই জায়গায় কাজ করতে গিয়েছিলেন সুব্রতদের ৩ জন প্রতিবেশী যুবকও। তাদের নাম জগন্নাথ ঘোড়ুই, মধুমঙ্গল ও শংকর মন্ডল। জগন্নাথ ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধেই সুব্রতকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার হঠাৎ বাড়িতে খবর আসে সুব্রত মারা গিয়েছেন। সুব্রতর বোন টুম্পা মঙ্গলবার চেন্নাই থেকে ফিরে আসে, সুব্রতর মৃতদেহ নিয়ে আসেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জগন্নাথ ঘোড়ুই ঠিকা শ্রমিকের অপারেটরের কাজ করে। বেশ কয়েকদিন ধরেই সুব্রত জগন্নাথের কাছে একটি ফোন কিনে দেয়ার জন্য আবদার করছিল। জগন্নাথ ফোন কিনে না দেওয়ায় বেশ কয়েকবার সুব্রতর সঙ্গে বচসা হয় জগন্নাথের। সুব্রতর বোন টুম্পা জানিয়েছেন, গত রবিবার রাতে জগন্নাথ, মধুমঙ্গল এবং শংকর সারাদিন ও রাত মদ খায়। সঙ্গে ছিল সুব্রতও। টুম্পার দাবি, এরপর সুব্রতকে নিয়ে বাইরে নিয়ে চলে যায় তিনজন। তার পর আর সুব্রত বাড়ি আসেনি বলে টুম্পার দাবি। টুম্পার অভিযোগ, ‘বারবার আমার দাদা কোথায় জিজ্ঞাসা করলে ওরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর আমি চুপ করে যাই। তারপর দাদার মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি চলে আসি।’ টুম্পার অভিযোগ প্রতিবেশী তিন যুবকই খুন করেছে তাঁর দাদাকে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বাড়িতে দেহ আনার পর মূল অভিযুক্ত জগন্নাথকে পাওয়া যাচ্ছে না। থানায় জানানো হয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছে তারা। ঘটনার পর থেকে মূল জগন্নাথ ঘোড়ুই ও তার সঙ্গীরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে সাগর থানার পুলিশ।যদিও একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। ওখানে কীভাবে সুব্রতর দেহ পাওয়া গেল? চেন্নাইতেই কোনও থানায় অভিযোগ কী জানানো হয়েছিল? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিস।