শক্তিপীঠ হিসেবে মালদার খেতি বহু পুরনো

নতুন গতি, মালদা: শক্তিপীঠ হিসেবে মালদার খেতি বহু পুরনো। জেলার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য কালী মন্দির। এরমধ্যে অন্যতম মালদা জেলার জহুরা কালীর মন্দির। মালদা শহর থেকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে এই মন্দির অবস্থিত। কথিত আছে ১০৮৩ বঙ্গাব্দে এই মন্দির এবং বেদি প্রতিষ্ঠা করে, শক্তি মূর্তির আরাধনা শুরু করেন শল্য তেওয়ারি। পরবর্তীতে ১২০৩ বঙ্গাব্দে হরিরাম তেওয়ারি দেবীর প্রতিমা প্রতিরূপ স্বপ্নে দেখেন। বিকজ দর্শনা লোড জিব্বা চর্বিত এই দেবী মুখোশ কে সারাবছর নিষ্ঠা সহকারে পুজো করা হয়। তবে বৈশাখ মাসের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার আয়োজন করা হয় বিশেষ পুজোর। জাগ্রত হিসেবে খ্যাতি রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই মালদা ছাড়াও রাজ্যের অন্য প্রান্ত থেকে ও কয়েক লক্ষ ভক্ত নিজেদের মনস্কামনা পূরণে হাজির হন। তবে এবারের ছবিটা একেবারে ভিন্ন। করণা সংক্রমনের জেরে মন্দিরে আগাম সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বেশ কিছু ভক্ত এসেছেন তবে সংখ্যায় নগন্য দেবীর মন্দিরের গর্ভগৃহ সহ সর্বত্রই লাগানো হয়েছে তালা। মন্দির বারান্দাতেই একটি বেদী স্থাপন করা হয়েছে। সেখানেই ভক্তরা শ্রদ্ধা সহকারে নানা উপচারে দেবীর পুজো দিচ্ছেন। এতে দেবীর প্রতি মনের শ্রদ্ধা অর্পিত হলেও খুশি নন অনেকেই। তারা চান দ্রুত স্বাভাবিক হোক পরিস্থিতি। মানুষ আবার ফিরে আসুক স্বাভাবিক জনজীবনে।