|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : পর পর দুটি মন্দিরে চুরি । প্রায় লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না-সহ প্রণামির বাক্স ভেঙে টাকা লুঠের অভিযোগ উঠেছে সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্মভিটে রামপুরহাট থানার আটলা গ্রামে। এর আগে ২০১৯ সালেও এক বার চুরি হয়। বার বার চুরি হওয়ার অভিযোগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মন্দিরের সেবায়েতরা।বামদেব বাবার কালীতলার কালীমন্দির ও কিছু দূরে বিল্লবাসিনী মায়ের মন্দিরে চুরি হয়েছে বলে খবর। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বামদেব বাবার কালীমন্দির খুলতে এসে দেখা যায়, মূল দরজার তালা ভাঙা। তার পরই চুরির ঘটনা নজরে আসে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মায়ের প্রায় দেড় ভরি ওজনের সোনার হার, সোনার নাকের গয়না ও প্রণামীর বাক্স থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আবার কিছু দূরে বিল্লবাসিনী মায়ের মন্দির থেকেও সোনার গয়না-সহ অর্থ চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। দু-দুটি মন্দিরে চুরির খবর পেয়ে সকালেই এসেছিল রামপুরহাট থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে দেখা হয়, কী ভাবে চুরি হয়েছে। মন্দিরের সেবায়েত সাধক বামাক্ষ্যাপারই বংশধর। তিন বছর আগেও এক বার চুরির ঘটনা ঘটেছিল এখানে। কেন বার বার দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য হচ্ছে বহু মানুষের আরাধনার জায়গা? প্রশাসনের বিরুদ্ধে এদিন এই প্রশ্নে ক্ষোভ উগরে দেন মন্দিরের সেবায়েতরা।দিনদুয়েক আগে হাওড়ার ব্যাঁটরা থানা এলাকার কালি কুন্ডু লেনের একটি প্রাচীন কালী মন্দিরেও দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। প্রণামীর বাক্স থেকে চুরি যাওয়া নগদ এবং রুপো ও সোনার গয়না মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রাচীন এই কালীমন্দিরে দক্ষিণাকালীর সোনার গয়না, রুপোর গয়না সহ প্রণামী বাক্সের নগদ টাকা চুরি হয়। তবে মন্দিরের বাইরে সিসিটিভি থাকলেও গর্ভগৃহে কোনও সিসিটিভি না থাকায় চুরির ঘটনার কিছুই ক্যামেরাবন্দি হয়নি। মন্দিরের গেটের তালা না ভাঙা হলেও পিছন দিকের জানলার ঘুলঘুলি ভেঙে মন্দিরে চুরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাটরা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এর আগে বছর ৩০ আগে একবার মন্দিরের প্রণামী বাক্স চুরি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে চুরির কিনারা হলেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতিকে শনাক্ত করা যায়নি। সম্প্রতি হুগলি জেলাতেও মায়ের মন্দিরে একটি চুরি ঘটনা ঘটেছে। হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিয়ানজি বাগানের বড় কালী মন্দির থেকে চুরি যায় সোনা ও রুপো-সহ নগদ ছ’হাজার টাকা। মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দাবি, চুরি দাওয়া অলঙ্কারের পরিমাণ প্রায় সাত ভরি। বড় কালী মন্দিরের ঘটনায় এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়।