শান্তিপুরে গোপাল পুজো নিয়ে বেশ উন্মাদনা রয়েছে সুউচ্চ গোপালের মূর্তি তৈরি করেন এলাকার সাধারণ মানুষ ও ক্লাবের সদস্যরা মিলেই

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাঙালির তো বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই রয়েছে। গতকালই ছিল দোলযাত্রা। আর এই দোলযাত্রাকে কেন্দ্র করে নদীয়ার শান্তিপুরে যেন এক বিশেষ উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায় সেখানকার মানুষদের মধ্যে। শান্তিপুরে গোপাল পুজো নিয়ে বেশ উন্মাদনা রয়েছে। আর দোলযাত্রার সময় তা আরও বৃদ্ধি পায়।শান্তিপুরে গোপালকে ঘরের ছেলের মতোই দেখা হয়। তাদের আবার নানান নাম রয়েছে, বড় গোপাল, মেজ গোপাল, ছোটো গোপাল, ধেড়ে গোপাল, থ্যাবড়া গোপাল, নাড়ু গোপাল, আরও কত কী! তবে ধাতব গোপাল নিয়ে এখানে নানান লৌকিকতা রয়েছে।শোনা যায় এই ধাতব গোপালকে ঘরে তালা বন্ধ করে রেখে পরিবারের লোকেরা একসঙ্গে কোথাও যেতে পারেন না। হয় তাঁকে কোনও প্রতিবেশীর কাছে রেখে যেতে হয় আর তা না হল সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হয়। শান্তিপুরে দোল উৎসব মানেই গোপাল পুজো।শান্তিপুরের সূত্রাগড় চড়ে বেশ বড় করেই প্রত্যেক বছর গোপাল পুজো হয় দোলযাত্রায়। এই বছরও তা হয়েছে। তবে এই বছরের বিশেষত্ব হল পূজিত গোপালের উচ্চতা। জানা গিয়েছে, এই বছর সূত্রাগড় চড়ে ২৭ ফুট উচ্চতার গোপালের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।এই পুজো গত ৫৮ বছর ধরে চলে আসছে। খুন নাকি জাগ্রত এখানকার ঠাকুর। ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন তিনিল। নিঃসন্তান দম্পতির কোল আলো করেন এই গোপাল। দোলযাত্রায় তিনদিন ধরে মেলা বসে এখানে। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন গোপাল মূর্তি দর্শনের জন্য। আর বিশেষ ব্যাপার হল কোনও মৃৎশিল্পী নয়, এই সুউচ্চ গোপালের মূর্তি তৈরি করেন এলাকার সাধারণ মানুষ ও ক্লাবের সদস্যরা মিলেই।

    চলে গান বাজনার আসর, পুজো কমিটির তরফে ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। পুজো উদ্যোক্তাদের মতে, শুধু নদীয়া জেলাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় গোপালের মূর্তি তৈরি হয়েছে শান্তিপুরের সূত্রাগড় চড়ে। এক মাস আগে থেকে শুরু হয়েছিল এই মূর্তি বানানোর কাজ। এই মূর্তি দর্শন করার জন্য এলাকার মানুষ তো বটেই, শান্তিপুরের বাইরে থেকেও মানুষ এসেছেন।