|
---|
উজির আলী, নতুন গতি, চাঁচল: আসন্ন বিধানসভার আগে নিজের মাটি শক্তি করতে রাজনৈতিক তরজা শুরু করেছে চাঁচলের গেরুয়া ও ঘাসফুল শিবির।
২০২১ কে পাখির চোখ করে শুরু হয়েছে তাদের প্রস্তুতি। এমন তরজায় করোনা যেন উধাও মালদহের চাঁচল বিধানসভা এলাকায়। বিধানসভা কেন্দ্র দখল করতে ঘাসফুল-পদ্মফুলের চলছে রেষারেষি।
তৃণমূল থেকে বিজেপি আর বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান কর্মসূচী ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে চাঁচল বিধানসভায়। দু- দলেরই আশা; বিধানসভা কেন্দ্র দখল করতে হবে। মানুষের পাশে দাড়াতে হবে।
তবে এই বিধানসভা যে জাতীয় কংগ্রেসের গড়। আদৌ কি তাদের সাফল্য ঘটবে। সেই অপেক্ষায় রয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রীতি, শনিবার সন্ধ্যায় ফের শতাধিক তৃণমূল সমর্থক দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবী করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। ১১ নং জেলাপরিষদের সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমের হাতে ধরে খরবা ও ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষেরা যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কাইয়ুম।
তবে বিজেপির যোগদানে সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই। জটলা বেধে ঘেষাঘেষি করে যোগদান করছে এবং স্বাস্থ্যবিধিকে অগ্রাহ্য করছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ করে বলেছেন চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি সচীদানন্দ চক্রবর্তী। তবে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনাটি ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন তৃণমূল। জোড়াফুলের উন্নয়নে কেউ দল ছাড়বে না বলে আশাবাদী শাসকদল। তবে সামাজিক দুরত্ব বিধিকে তৃণমূল দল যে কতটা মান্যতা দিচ্ছে সেকথাই জানালেন মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম।
তৃণমূলের একাধিক কর্মসূচীতে শত শত কর্মী দল বেধে হইহুল্লোড় করেছে বলে অভিযোগ দীপঙ্করের। তবে করোনার অতি মহামারীতে রাজনৈতিক ভিড়-জমায়েত নিয়ে সরব হয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।