|
---|
বাংলায় পুজোর পরে করোনা সংক্রমণের সুনামি বইবে। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানালেন চিকিত্সকরা
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : কলকাতার চিকিত্সকরা চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই চিঠিতে ডাক্তারবাবুরা বলেছেন দুর্গাপুজোয় কড়া বিধিনিষেধ জারি করুন। নাহলে বাংলায় পুজোর পড়ে করোনা সংক্রমণের সুনামি বইবে। স্বাস্থ্য দফতরের অন্যতম পরামর্শদাতা তথা কোভিড-১৯ বিশেষজ্ঞ কমিটির অন্যতম সদস্য ডাক্তার বিআর সতপতি বলেছেন, আমরা সরকারকে বলেছি, মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে। চিকিত্সকদের যৌথমঞ্চ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে কেরল ও স্পেনের উদাহরণ দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওনম উত্সবে কড়াকড়ি শিথিল করেছিল কেরল সরকার। তারপর দক্ষিণের রাজ্যটিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে বসেছে। স্পেনে ফুটবল ম্যাচে দর্শক ঢুকতে দিয়ে একই বিপত্তি ঘটেছে। বাংলায় তেমন যেন না হয়। চিকিত্সকদের যৌথ মঞ্চ মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলেছে, মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকে বাংলায় সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এটা সংকেত। এখন থেকেই দুর্গাপুজো নিয়ে সতর্ক হতে হবে। ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আরও লেখা হয়েছে যে, গণেশ চতুর্থিতে মহারাষ্ট্রে খুবই নমঃ নমঃকরে পুজো হয়েছে। নবরাত্রি উদযাপন বাতিল করে দিয়েছে গুজরাত সরকার। বাংলার সরকারও যেন সেরকমই পদক্ষেপ নেয়। নাহলে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। প্রসঙ্গত দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক বন্ধু অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার এখনও দুর্গাপুজোয় অনুমতি দেয়নি। তাঁরা আরও বলেছেন, মহামারীর কথা ভেবেই ইদ, পয়লা বৈশাখের মতো উত্সব ঘরে বসেই পালন করেছেন মানুষ। এবার দুর্গাপুজোতেও কড়াকড়ি করা হোক। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পুজোর সময়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা, সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোথা বলেছে। যদিও চিকিত্সকদের বক্তব্য, শুধু এটুকু বললেই হবে না। রাজ্য সরকারকে নির্দিষ্ট গাইডলাইন জারি করতে হবে। নাহলে পুজোর পরে ভয়ঙ্কর বিপদের সামনে দাঁড়াবে বাংলা।