ঠিকা সংস্থার গাফিলতিতে নষ্ট হচ্ছে সদ্য নির্মিত পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা

আজিজুর রহমান,গলসি : সেচ দপ্তরের ঠিকাদারদের গাফিলতিতে নষ্ট হচ্ছে সদ্য নির্মিত পথশ্রী প্রকল্পের পিচ রাস্তা। এর ফলে গোটা বর্ষাকাল ধরে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি সংস্থার কাছে জানালে তারা কাজের শুরুতে ঠিক করার কথা বলেছিলেন। তবে এখন আর ধরা-ছোঁয়া দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এদিকে বিষয়টিতে নজর নেই কোনো সরকারি আধিকারিকের। ফলে গোটা বর্ষাকাল ভোগান্তিতে কাটিয়েছেন গলিগ্রাম, মনোহর সুজাপুর, রামপুর ও হরিপুর এই চারটি গ্রামের সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ফোনে জানানো হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, পথশ্রী রাস্তাটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনুক ঠিকাদারি সংস্থা।

    স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুদ্দিন মল্লিক বলেন, গলসির গলিগ্রাম ও রামপুরের সেচ ক্যানালের লকগেটে কাজ করছে একটি বেসরকারি ঠিকাদারি সংস্থা। মাঠে জলসেচের পাইপ বসাতে গিয়ে দুই জায়গায় পিচ রাস্তার অংশ কেটেছে ঠিকাদার। ঠিকাদারের ম্যানেজারকে মাটি পরিষ্কার করার জন্য বারবার বলা হলেও প্রথমে ঠিক করে দেবেন বলে জানান। এখন বলছে, সেচ দপ্তর অনুমতি না দিলে কিছু করবেন না। ঠিকাদার নিজেদের সুবিধার্থে তিনশো ফুট পিচ রাস্তা কাদা-মাটিতে ঢেকে দিয়েছে। ফলে বর্ষার জল হলেই ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। সরকারি কাজ করতে এসে মানুষকে সমস্যায় ফেললে এর জবাব কে দেবে? আমরা কাজের সময় কষ্ট সহ্য করেছি, এখন কাজ শেষ হলে আমাদের সমস্যায় ফেলছেন কেন?

    এলাকার বাসিন্দা মোনজ ঘোষ বলেন, রাস্তাটি ভালোই ছিল। ঠিকাদার দুটি পাইপ বসাতে গিয়ে দুই জায়গায় রাস্তা কেটেছিল। সেই কাটার মাটি গোটা রাস্তায় পড়ে আছে। আমরা বারবার বললেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কি করব? এবার লোকজন নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। শিক্ষক এমাদাদুল মল্লিক বলেন, আমার মতো অনেকেই এই রাস্তায় যাতায়াত করেন। রাস্তাটি খুব ছোট, সময় সাশ্রয় হয়। তাছাড়া এই রাস্তাটিতে কোনো ঝুঁকি নেই। সেচ দপ্তরের ঠিকাদারি সংস্থার গাফিলতির কারণে আমাদের রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গেছে। গোটা বর্ষাকাল আমরা যাতায়াত করতে পারিনি। আমরা সরকারকে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করছি। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিৎ মাহতির সাফ কথা, আমরা সেচ দপ্তরের অনুমতিতেই কাজ করেছি। এখন সেচ দপ্তর বললে তবেই আমরা রাস্তা ঠিক করব। স্থানীয়রা কোথায় জানাবে বললে তিনি বলেন, তারা সেচ দপ্তরে জানাক।