|
---|
খান আরশাদ, বীরভূম:
রহস্যজনকভাবে মহম্মদ বাজারের সালুকা গ্রামের রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর দেহ, পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্বামী। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
কিন্তু কিভাবে ঘটলো এই ঘটনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা।
সন্দীপ দাস নামে এক যুবক তার স্ত্রী সুচিত্রা বাগদিকে নিয়ে বাইকে করে মঙ্গলবার রাত্রে মখদুমনগর থেকে তার নিজের বাড়ি মহম্মদবাজারের হিংলো গ্রামে ফিরছিলেন।
সালুকা গ্রামের কাছে আসতেই কয়েকজন দুষ্কৃতি তাদের পথ আটকায় এবং বাইকের চাবি চায় এবং তাদের মারধর করতে থাকে।
সালুকা গ্রামের পাশে রাস্তার পাশ দিয়ে পেরিয়ে যাওয়া মানুষরা সুচিত্রা বাগদিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সন্দীপ দাস।
এই ঘটনা জানার পর গ্রামের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্দীপের স্ত্রী সুচিত্রা বাগদিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। সেখান থেকে সুচিত্রা বাগদির দেহ পুলিশ উদ্ধার করে এবং আহত সুদীপ দাস কেও সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সন্দীপ দাস জানায় কয়েকজন দুষ্কৃতি বাড়ি ফেরার সময় তাদের পথ আটকে দাঁড়ায় এবং তাদেরকে মারধর করে। সন্দীপ দাসও নিজের মাথা থেকে হেলমেট খুলে ওই দুষ্কৃতীদের আঘাত করে।
যদিও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছিল দুষ্কৃতীরা বাইক ছিনতাই করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
কিন্তু এরপরই এক চঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন মৃতার পরিবার।
জানা গেছে সন্দীপ ও সুচিত্রার মাস সাতেক আগে বিয়ে হয় এবং তাদের প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত।
সন্দীপ দীর্ঘদিন সুচিত্রার সাথে প্রেম করলেও বিয়ে করতে রাজি হয়নি। পরে সুচিত্রার পরিবারের চাপে পড়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয়।
গত কয়েকদিন ধরে বাপের বাড়িতেই ছিলেন সুচিত্রা। এরপর বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
বাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা পুরোপুরি সাজানো এবং সন্দীপই তার স্ত্রীকে খুন করেছে বলে সুচিত্রার পরিবারের অভিযোগ।
সুচিত্রার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকার কথাও জানা গেছে। এর ফলেই এই খুনের ঘটনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।