এবার বীজপুরের তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা

নিজস্ব সংবাদদাতা :হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের পর, চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে এবার বীজপুরের তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা। এদিন হালিশহরের জেটিয়ায় বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ও কাঁচরাপাড়া পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর পৈতৃক বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তল্লাশি চলছে মঙ্গলদীপে বিধায়কের অফিস এবং ব্যক্তিগত সহকারীর বাড়িতেও। সিবিআই সূত্রে দাবি, সানমার্গ চিটফান্ডকাণ্ডে কলকাতায় ৩টি এবং হালিশহর, জেটিয়া, কাঁচরাপাড়া-সহ ৭টি জায়গায় তল্লাশি চলছে। রাজু সাহানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করলেও, চিটফান্ড-যোগ অস্বীকার কাঁচরাপাড়ার পুর চেয়ারম্যানের। বিপক্ষকে দাবিয়ে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। সুবোধ অধিকারী তো কম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যেতে হচ্ছে ইডি-তে।তবে এই সবে কিছু হবে না। চিটফান্ডকাণ্ডে বীজপুরেরর তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের। উল্লেখ্য, যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন রাজু সাহানির আইনজীবী। যেহেতু তিনি একটি নির্দিষ্ট দল করেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও দাবি জানানো হয়। রাজু সাহানির আইনজীবীর দাবি, রাজু যানতেন না যে এই চিটফান্ড সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর সৌম্যদীপ ভৌমিক পলাতক রয়েছেন। তিনি রাজুর বন্ধু ছিলেন। রাজুর যেহেতু রিয়েল এস্টেটের একাধিক ব্যবসা রয়েছে, তাই সেই কাজে বছর তিনেক আগে ৩০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা শোধও করে দিয়েছিলেন। তার রসিদও আছে। সেই রসিদ তিনি আদালত চাইলে পেশ করতে পারেন বলে জানান। সেই রসিদ সিবিআইকে দেখাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তা অ্যাকসেপ্ট করেননি। এদিকে, গরুপাচারকাণ্ডে এবার সিআইডি-র হাতে গ্রেফতার এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ গরু ব্যবসায়ী। ধৃতের নাম জেনারুল। সিআইডি-র দাবি, বেআইনিভাবে গরুপাচারে যুক্ত ছিলেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের এই ব্যবসায়ী। কীভাবে হত পাচার? সিআইডি-র অভিযোগ, ১৮০০ গরু কিনে, তার মধ্যে ১২০০ গরুকে মৃত বা নিখোঁজ দেখিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধেয় জঙ্গিপুরের ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি-র দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী। এনামুল ও জেনারুল মিলে গরুপাচার করত। এমনকি, সীমান্তে আটক করা গরুও নিলাম থেকে কিনে পাচার করা হত বলে সিআইডি-র দাবি।