|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: শস্য বিমার সময় সীমা বাড়ল। খরিফ চাষে শস্য বিমার আবেদন সময় সীমা ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত রাখা হয়েছিল। সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
এবার খরিফ চাষের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত। ওই সময় পর্যন্তই শস্য বিমার আবেদনের সময় সীমা রাখা হয়েছিল। এবার বৃষ্টির অভাবে চাষ পিছিয়ে যাওয়ায় শস্য বিমার আবেদনের সময় সীমা আরও কিছুটা বাড়ানো হলো বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলায় চার লক্ষ ৭৪ হাজার চাষি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। গত বছর আমনের জন্য ফসল বিমার আবেদন জানিয়েছিলেন ৪ লক্ষ বারো হাজার কৃষক।আবেদন পত্র পরীক্ষা করার পর প্রায় চার লক্ষ কৃষককে বিমার আওতায় আনা হয়েছিল। এ বছর ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত চার লক্ষ ২১ হাজার ২১৬ টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। তার মধ্যে ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৩৭টি আবেদন পত্র সরকারি পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ব্লক কৃষি আধিকারিকরা এক লক্ষ ৪১ হাজার ২৩৭ টি আবেদন পরীক্ষা করে ৮০ হাজার ২৫৮টি শস্য বিমার আবেদন মঞ্জুর করেছে।পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে আমনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তার ওপর বৃষ্টির অভাবে বেশ কিছু জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চরম জলের সমস্যা চলছে। তাই ফসল বিমা থাকলে চাষে ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে কৃষকদের বোঝানো হচ্ছে।
তা সত্তেও বহু কৃষক এখনও ফসল বিমার আওতার বাইরে রয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর, ভাতার, জামালপুর, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম দু নম্বর ব্লকে চাষিদের মধ্যে ফসল বিমা করানোর আগ্রহ কম।কৃষকদের বক্তব্য, ফসল বিমা করানোর ব্যাপারে সরকারি প্রচারের ঘাটতি রয়েছে। আবার বিমা করিয়েও ক্ষতিপূরণ মেলেনি এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে। সেসবের কারণে কৃষকদের মধ্যে বিমা করানোর আগ্রহ কম।