|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: কৃষকদের আন্দোলনে এ বার নৈতিক সমর্থন জানাল অল ইন্ডিয়া ট্যাক্সি ইউনিয়ন। শুধু সমর্থনে থেমে না থেকে কেন্দ্রের উদ্দেশে সোমবার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ট্যাক্সি সংগঠন। দু-দিনের মধ্যে কৃষকদের দাবি মেনে না নিলে, ট্যাক্সি সংগঠনের তরফে দেশজোড়া ধর্মঘটের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
সারা ভারত ট্যাক্সি সংগঠনের সভাপতি বলবন্ত সিং ভুল্লর সোমবার জানান, আন্দোলনরত কৃষকদের দাবিদাওয়া পূরণের জন্য তাঁরা কেন্দ্রকে দু-দিন সময় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, নয়া কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করে নিন। কর্পোরেট সেক্টরগুলি আমাদের ক্ষতি করছে।’ এর পরেই সুর চড়িয়ে বলবন্ত বলেন, ‘যদি কেন্দ্র এই কৃষি আইনগুলি দু-দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করে, তা হলে রাস্তা থেকে আমরা ট্যাক্সি তুলে নেব।’ ট্যাক্সি চালকদের উদ্দেশে তিনি অনুরোধের সুরে বলেন, ‘চালক বন্ধুদের অনুগ্রহ করে বলছি, আপনারা ৩ ডিসেম্বর থেকে ট্যাক্সি বন্ধ রাখুন।
হরিয়ানা ও দিল্লির বর্ডার সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমানায় বিগত পাঁচ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা। অধিকাংশই পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষক। তবে, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের কৃষকরাও দল দলে শামিল হচ্ছেন। পঞ্জাবের একাধিক কৃষক সংগঠনের ডাকা দিল্লি চলো অভিযান ভেস্তে দিতে দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি হরিয়ানা পুলিশও তত্পর হয়েছিল। ১৪৪ ধারা জারি করে, ব্যারিকেড দিয়ে, কাঁটাতার বিছিয়ে, জলকামান দিয়ে, লাঠিচার্জ করে নান ভাবে কৃষকদের গতিপথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে।
কিন্তু, এসব বাধা উপেক্ষা করে কৃষকরা শেষ পর্যন্ত দিল্লি সীমানায় এসে উপস্থিত হন। তাঁদের নাছোড় মনোভাবের কাছে পরাস্ত হয়ে পুলিশ কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে দেয়। বুরারির ময়দান বিক্ষোভকারীদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া। কিন্তু, কৃষকরা সেখানে যেতে অস্বীকার করেন। বিশেষত, অমিত শাহ আলোচনায় বসতে শর্ত আরোপ করায়। কৃষক সংগঠনের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখের উপর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
এর আগে ঠিক ছিল ৩ ডিসেম্বর এই বৈঠক হবে। কিন্তু, কৃষকরা ঠান্ডার মধ্যে যে ভাবে আন্দোলন করছেন, তাতে আরও ২দিন অপেক্ষা না করে, বৈঠকের দিন এগিয়ে আনেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। আজ, মঙ্গলবার বেলা ৩টেয় বিজ্ঞানী ভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু, কাজের কাজ কী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন পর্যবেক্ষরা। কারণ, কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত কৃষি আইন নিয়ে মনোভাব পরিবর্তন করেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, নতুন আইনে কৃষকরা লাভবান হবেন।