স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার ৩

কলকাতা: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোস্তার স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের কিনারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের। খুনের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের আগরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ অভিযুক্তকে। রবিবার বড়বাজারে নিজের গদিতে খুন হন ওই ব্যবসায়ী। লুঠ হয় বহুমূল্যের অলঙ্কার। খুনের ঘটনায় গদির এক প্রাক্তন কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। লুঠের উদ্দেশ্যে খুন বলে অনুমান তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার গয়না।

    গত রবিবার পোস্তায় নিজের গদিতেই খুন হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপকুমার গুপ্ত। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এক কর্মী দেখতে পেয়ে খবর দেন পোস্তা থানায়। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ হানা দেয় উত্তরপ্রদেশে। তারপর ওই রাজ্যের ATS এর সাহায্যে গ্রেফতার করা হয় আলিগড়ের বাসিন্দা রূপকিশোর কুশওয়াহা,  মেরঠের বাসিন্দা সুশীল কুমার ও গাজিয়াবাদের বাসিন্দা করণ বর্মাকে। পাশাপাশি, পুলিশ খতিয়ে দেখে গদির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।  জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এক কর্মীকে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দোকানের এক প্রাক্তন কর্মীর আচরণে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগসাজশ ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। সেই সূত্রে ধরেই উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশের ATS।

    কিছুদিন আগেই এলগিন রোডের গেস্ট হাউসে কলকাতার অন্য এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুন হয়েছিলেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি খুন হন ভবানীপুরের রত্ন ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্য। অপহরণ করে খুনের পর মুক্তিপণের ২৫ লক্ষ হাতিয়ে আততায়ী চম্পট দেয় বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ করে। পুলিশ সূত্রে দাবি, বিশাল নামে এক তরুণের সঙ্গে আঙ্কল পরিচয়ে ওই গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন ব্যবসায়ী। রাত দশটা নাগাদ ওই তরুণকে গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।তারপর আর কাউকে সেখানে ঢুকতে দেখা যায়নি।