|
---|
বাইজিদ মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার:- বিগত ২৪শে অক্টোবর সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে রামনগর থানা একটি খবর পাওয়া যায় যে রামনগর থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এর অন্তর্গত মুকুন্দপুর এলাকাতে প্রহ্লাদ সরদারের ওয়ার্কশপে একাধিক কালী ঠাকুরের প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পাওয়া মাত্রই রামনগর পুলিশ এবং ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে তৎক্ষণাৎ পৌঁছে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।এরপর পুলিশের হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স, টেকনিক্যাল ইনপুটস, বিভিন্ন ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর আসল সত্যতা সামনে আসে। প্রহ্লাদ ও ওর সহকারী সদস্যদের একটানা কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুরো ঘটনার সত্য উধ্ঘাটন হয়। প্রায় ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার কিনারা করে আসল অপরাধী প্রহ্লাদ ও তার সাথীরা সমস্ত দোষ স্বীকার করে নেয়। তদন্তে নেমে জানা যায় যে বায়না দারেরা কালী ঠাকুরের মূর্তির গঠন ও গুনমান নিয়ে খুশি ছিল না ও তার উপর বায়নার অর্থ ফেরতের চাপ ছিল তাই সে প্রহ্লাদ এবং তার ভাই প্রতাপ সরদার এবং পুষ্পেন্দু বেরা মিলে প্রতিমা গুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ঘটনাটা সাম্প্রদায়িক একটা অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য অন্যভাবে সাজিয়ে স্থানীয় মানুষজনকে জানায়।ঘটনার সময় তারা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে তাদের কাছে থেকে তেমনটা জানা যায়।এস পি ধৃতিমান সরদার তিনি এসডিপিও মিতুণ কুমার দে কে পাশে নিয়ে সংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন এই ঘটনাটা সোশ্যাল মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে এছাড়াও ফেসবুক এর মধ্যে দিয়ে এই ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক জিনিস টাকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত চলছিল। অতি পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই পরিকল্পনা আমরা হতে দেয়নি আমরা ৩৬ঘণ্টার মধ্যে সাকসেসফুল। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে,এবং যেই সকল সোশ্যাল মিডিয়া ও ফেসবুক এর মধ্যে এই সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক পোস্ট করেছে এখনও পর্যন্ত যারা ডিলিট করে নাই তাদের কেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এমনটা জানিয়েছেন এস পি ধৃতিমান সরদার।