|
---|
জাকির হোসেন সেখ, নতুন গতি, উস্থি: মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়ার সমর্থনে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের ১২টা অঞ্চলের প্রতিটি থেকে ১০০ জন করে নেতৃস্থানীয় কর্মী নিয়ে মোট ১২০০ কর্মীর টগবগে উপস্থিতিতে, স্থানীয় বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে উস্থির বিজলী ভবনে হল নির্বাচনী কর্মীসভা। স্থানীয় বিধায়ক এবং মগরাহাট পশ্চিম ব্লক তৃনমূল সভাপতি তথা রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বিকেল ৩ টেয় সভা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই তৃনমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে সভাঘরের মঞ্চে উপস্থিত হন।
পরে পরেই উপস্থিত হন ভারতের প্রবীণতম লোকসভার প্রার্থী তৃনমূল কংগ্রেসের চৌধুরী মোহন জাটুয়া। উত্তরীয় ও ব্যাজ পরিধানের পালা শেষে বক্তব্য পর্ব শুরু হয়। গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘মা মাটি মানুষের সরকার উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই মানুষের আশা ভরসা আস্থা বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিদানে তাঁরা প্রতিটা নির্বাচনে জোড়া ফুলে ভোট দিয়ে তা জানিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এবারে আমাদের আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ এই ভোটে রাজ্য সরকার নয়, এই ভোটে নির্ধারণ হবে কেন্দ্র সরকার। যে কেন্দ্র সরকার গত ৫ বছরে দুর্নীতি, বেকারত্ব, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, এবং সাম্প্রদায়িক আর ধর্মীয় বিভাজনের মাধ্যমে দেশটাকে একেবারে খোকলা করে দিয়েছে। সারাদেশে বিজেপির পতন নিশ্চিত করতেই আমাদের তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। সাতটা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা থেকেই আমাদের ৫০০০০ ভোটে লিড দিতে হবে জাটুয়া সাহেবেকে।’
জেলা সভাপতি শুভা শিস চক্রবর্তী বলেন, ‘অনেকেই নাকি বলেছেন যে আবার চৌধুরী মোহন জাটুয়া ? কিন্তু আমি মনে করি পশ্চিমবঙ্গে যতগুলো সাংসদ আছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে দক্ষ, অভিজ্ঞ, কর্মচঞ্চল, কর্মতৎপর এবং নিরহংকারী হলেন চৌধুরী মোহন জাটুয়া।’
প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া বলেন, ‘আমাকে তৃতীয় বারের জন্য প্রার্থী করায় আমি মমতা ব্যানার্জির প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি কৃতজ্ঞ শুভাশিস চক্রবর্তী এবং গিয়াসউদ্দিন মোল্লার প্রতি। সর্বোপরি কৃতজ্ঞ আমি আমার কেন্দ্রের প্রতিটি কর্মী সমর্থকদের প্রতি – যাদের আন্তরিক চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই দল আমাকে প্রার্থী করেছে।’
সিপিএম এবং বিজেপি প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘বিজেপি এবং সিপিআইএম দলের যেন এখন দস্তুর হয়ে গেছে যে, ওদের কোনো প্রার্থী যদি বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয় তো তাকেই লোকসভা ভোটে প্রার্থী করতে হবে। আমার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে প্রায় জামানত খুইয়েছেন। মন্দির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে সিপিএম প্রার্থীরও একই দশা হয়েছিল।’ এছাড়াও বক্তব্য রাখেন তৃনমূল ছাত্র পরিষদ নেতা অমিত সাহা, মগরাহাট পশ্চিম ব্লকের সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্র মন্ডল, ব্লক নেতা সেলিম খান, এ্যাডভোকেট শৈবাল মন্ডল, ব্লক যুব সভাপতি ইমরান হাসান প্রমুখ।