মাস্ক পড়তে বলায় পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি তৃণমূল নেতার, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত নেতা, পুলিশের ভূমিকা কে সাধুবাদ জানালেন তৃণমূল বিধায়ক তজমুল, পাল্টা তৃণমূলের জন্য করোনা ছড়াচ্ছে বলে কটাক্ষ বিজেপির

মালদা: দিনদিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আংশিক বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আরো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু সাধারণ মানুষ নয় আক্রান্ত হচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তা সহ পুলিশও। তারপরও মানুষকে সচেতন করতে প্রত্যেকদিন পথে নামছে পুলিশ। কেউ মাস্ক না পড়লে নেওয়া হচ্ছে যথাযথ ব্যবস্থা। সেই অনুযায়ী এই দিন পথে নেমেছিল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মাস্ক পড়ে ছিলেন না শাসকদলের এক নেতা। তাকে মাস্ক পড়তে বলায় পাল্টা পুলিশকে ধাক্কা দেন তিনি। তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই নেতাকে। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যদিও পুলিশের এই ভূমিকা কে সাধুবাদ জানিয়েছেন শাসকদলের বিধায়ক তজমুল হোসেন। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুরে। শুধু স্বাস্থ্য বিধি ভঙ্গ নয়,পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার মামলাও দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও এই গ্রেফতারে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। অন্যদিকে এই নিয়ে আসরে নেমেছে বিজেপি। তৃণমূলের এইসব নেতাদের জন্যেই মূলত করোনার সংক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।

    সাব ইন্সপেক্টর বিকাশ হালদার বলেন মাস্ক পড়েছিলেন না তাই মাস্ক পড়তে বলা হয়েছিল। পাল্টা ধাক্কাধাক্কি করেন। আমার কিছু বলার নেই। গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূল বিধায়ক তজমুল হোসেন বলেন,” রাজ্য জুড়ে বাড়ছে করোনা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী। তা কেও তৃণমূলের হোক বা অন্য কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন মাস্ক পড়তে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে। আমরাও সচেতনতা মূলক প্রচার চালাচ্ছি।”

    পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতা কিষান কেডিয়া বলেন,” নবান্ন থেকে ঘোষণা করছে এক কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে আরেক। শাসকদলের নেতারাই নিয়ম মানছে না। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তৃণমূলের জন্যই ছড়াচ্ছে করোনা।”

    এই ধরনের মারণ ভাইরাস কে প্রতিহত করতে গেলে সকলকে এক সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। মূলত যারা নেতা বা জন-প্রতিনিধি সমাজের সাধারণ মানুষদের উপর তাদের একটা প্রভাব থাকে। তারা নিজেরাই যদি নিয়ম না মেনে চলে তা সাধারণ মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলার জন্য পুলিশের গায়ে হাত তোলা অত্যন্ত নিন্দনীয় অপরাধ। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই ঘটনার প্রতিবাদ সকলের করা উচিত। তবে সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক বার্তা যাবে