কেশপুর ব্লকের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন তৃণমূল নেতৃত্ববৃন্দ

সেখ মহম্মদ ইমরান, কেশপুর : কেশপুর ব্লকের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি শাহা, মন্ত্রী হুমায়ুন কবির, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, বিডিও দীপক ঘোষ, তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক, ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। এদিন কেশপুরের ঝেঁতলা ও মুগবসান অঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকা গুলো পরিদর্শন করে বন্যা দুর্গতদের সাথে কথা বলে তাদের অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন । রাজ্য সরকার যে তাদের পাশে আছে সেকথা তাদের বলেন এবং যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। কেশপুরে বন্যার ফলে প্রচুর ঘরবাড়ি ও ফসল নষ্ট হয়েছে। মুগবসানের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কুবাই নদী। ফি বছর বন্যার ফলে মুগবসান, সরই, ইছাইপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় । কুবাই নদীর বাঁধ কংক্রিট করে দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী।

    মুগবসানে বন্যার ফলে বিঘার পর বিঘা জমিতে কোথাও দুইফুট কোথাও বা তিনফুট বলি জমে গেছে। জমিগুলো কাজের অযোগ্য হয়ে গেছে। বালি না সরালে এ জমি গুলোতে আর চাষ করা যাবে না । যে সমস্ত কৃষকরা ঋণ নিয়ে জমি চাষ করেছিল তাদের মাথায় হাত পড়েছে। ঝেঁতলা অঞ্চলের অনেক জায়গায় রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। কেশপুর থেকে জগন্নাথপুর যাওয়ার প্রধান রাস্তা প্রায় 100 ফুট বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমি এখনো জলের তলায় আছে। বন্যার জলে কাঁচা বাড়িগুলো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। মন্ত্রী মহোদয়গণ এই সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী মানুষ রঞ্জন ভূইয়া বলেন , বন্যার ফলে কাঁচা বাড়ি গুলো হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। যাদের ঘর বাড়ি ভেঙে গেছে তাদেরকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে। বন্যার ফলে যাদের ক্ষতি হয়েছে, তাদের কেউই বাদ যাবে না। বন্যার জন্য তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার মানুষের ভালো চায় না। তারা বাংলার ভালো চায় না ।তাই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দিচ্ছে না। আজ 5 বছর ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান পাস হয়ে গেলেও এক নয়া পয়সা এখন পর্যন্ত দেয়নি। রাজ্য সরকার বারবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণ করার চেষ্টা করলেও কেন্দ্র সরকার কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এই জন্য প্রতিবছর এ সমস্ত এলাকাগুলোতে বন্যা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন পশ্চিমবাংলার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে তার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে ঘাটার মাস্টারপ্লান রূপায়ণ করা যায় তার চেষ্টা করছেন। ফলে সাধারণ মানুষ বন্যার হাত থেকে বেঁচে যাবে। কিছুদিন আগে এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি শাহা এসমস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে গেছেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।