ডেরেক ও’ব্রায়েন: প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন শনিবারে ত্রিপুরায় সাংবাদিক বৈঠকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

    তাঁর বক্তব্য “মোদি, অমিত শাহ কারোর কাছে দায়বদ্ধ নন। সেই কারণে সংসদ চলতে দেওয়া হয়নি”

    তিনি আরো বলেন “প্রধানমন্ত্রীকে ৮টি প্রশ্ন করা হয়েছিল। একটি প্রশ্নেরও উত্তর দেননি মোদি। কেন পালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?”

    ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় ভিডিও

    বিজেপি’র হুইপ মানেননি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ! মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় ভিডিও প্রকাশ করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।

    রাজ্যসভায় শেষ দুদিন একাধিক বিল পাসের লক্ষ্যে তিন লাইনের হুইপ জারি করেছিল বিজেপি। দলের অন্য সব সংসদ হুইপ মানলেও অনুপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ দুজনেই।এদিকে, সংসদ অধিবেশন বানচাল করার দায়ে বিরোধীদের ঘাড়ে চাপিয়ে সরকারের তরফে ৮ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের পর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে ৮টি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ডেরেক, যার একটিরও উত্তর মেলেনি। তবে, এই ঘটনায় মোটেও অবাক হননি তৃণমূল সাংসদ।

    বরং শুক্রবার পাল্টা প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। রাজ্যসভা অধিবেশনের শেষ দিনে অনগ্রসর জাতি বিষয়ক বিল পাস করার সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ডেরেক। এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির অস্বস্তি বাড়িয়ে দুটি ছবি তুলে ধরেছেন তিনি। ছবি দুটি দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। একজন মনমোহন সিং, অন্য জন এইচডি দেবেগৌড়া। অনগ্রসর জাতি বিষয়ক বিল পাশের সময় ভোটাভুটিতে দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভোট দিচ্ছেন এই ছবি তুলে ধরেছেন দেবে।

    সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আপনি কোথায়?”ডেরেকের কথায়, “বৃহস্পতিবার দুপুরে  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়াল, প্রহ্লাদ যোশি, মুখতার আব্বাস নাকভি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদব, অনুরাগ ঠাকুর, অর্জুন মেঘওয়াল,বি মুরলীধরন সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তুলেছেন, বাদল অধিবেশনের সময় বিরোধীরা সংসদে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়েছে। সমস্ত  বিরোধী দলের উচিত দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তারপর ৮ মন্ত্রী কাছে একটি প্রশ্ন রেখেছিলাম কিন্তু তারা কেউ জবাব দেননি। এটাই কাম্য ছিল। এখন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইছি অনগ্রসর জাতি বিষয়ক বিল পাসের ভোটাভুটিতে তিনি অংশ নেননি কেন? আশা করছি, এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন প্রধানমন্ত্রী।”