বৈশ্বিক কর্মে যুবদের সম্পৃক্ততা,আগে বাংলা পরে বিশ্ব

শিল্পী,মুরারই,বীরভূম:১২আগস্ট পালিত হলো আন্তর্জাতিক যুব দিবস।তারুণ্যের বিকাশ ও উন্নয়নে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব মিনিস্টার রেসপনসিবল ফর ইয়ুথ’ ১২ আগস্টকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ হিসেবে উদ্‌যাপনের প্রস্তাব করে। পরের বছর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটি পালন করা হচ্ছে।

    বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার লঙ্গন এমনকি বর্তমান মহামারীর মত বিভিন্ন ঘটনায় পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে কাজ করেছে যুব সমাজ। বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক পরিবর্তন আনতে যুবসমাজের এই অবদানের জন্য প্রতিবছর ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়।

    এবারের যুব দিবসে একজন যুব হিসেবে সর্বপ্রথমে আমি কৃতজ্ঞতার সাথে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলার এক সময়ের যুবরত্না, বাংলার অগ্নিকন্যা, ভারতবর্ষের পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অলঙ্কার, বাংলার অহঙ্কার, জনগণমন অধিনায়িকা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতি। যুব দিবসের এই আয়োজনে আমি আরও কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই যার দরদ, মমতা ভালোবাসা, স্নেহ, ছায়া মেখে রাজনীতিতে বেড়ে ওঠা বাংলার যুব রাজনীতির সোনালী অতীত বঙ্গরাজনীতির বীর খ্যাত অনুব্রত মন্ডল তথা সকলের প্রিয় কেষ্ট দার প্রতি।
    আমি আরও কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাতে চাই বর্তমান সময়ে ভারতবর্ষের যুব রাজনীতির অলঙ্কার বাংলার অহঙ্কার সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সুযোগ্য সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের প্রতি।

    যুব দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো-সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ঘটনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে যুবকদের অংশগ্রহণ এবং মতামত আলোচনা করা। বিশ্বব্যাপী এই মহামারীর মত জটিল সময় ও যুবসমাজ জাতিগত বৈষম্যের মত ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এবারের আন্তর্জাতিক যুব দিবসের থিম হলো ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট ফর গ্লোবাল অ্যাকশন’ বা বৈশ্বিক কর্মে যুবদের সম্পৃক্ততা।

    ‘বৈশ্বিক কর্মে যুবদের সম্পৃক্ততা’ এটা আন্তর্জাতিক যুব দিবসের এবারের থিম হলেও বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ও পশ্চিবঙ্গ সরকার আরও আগে থেকেই বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তারপর এবার বিশ্বসভার নজর পড়েছে যুবদের বৈশ্বিক কর্মে সম্পৃক্ততার।

    বাংলায় যুব শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য রাজনৈতিক এবং রাজ্য সরকারের উদ্যোগ রয়েছে। যুবদের জন্য রাজ্য সরকারের যেমন রয়েছে যুবস্রীসহ একগুচ্ছ প্রকল্প রয়েছে, তেমনি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রয়েছে ‘বাংলার যুব শক্তি’ কার্যক্রম। অর্থাৎ ভারত বর্ষের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস যুব শক্তি নিয়ে ভাবনায় এগিয়ে, সেই ভাবনার প্রতিফল রয়েছে আন্তর্জাতিক যুব দিবসের এবারের থিমে। তাই বাংলার যুব শক্তি যার মস্তিকপ্রসূত সেই যুব আইকন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে বাংলা তথা ভারতবর্ষের যুব সমাজের পক্ষ থেকে কুর্ণিশ করি।

    অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশনা মোতাবেক বীরভূম জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সুযোগ্য সভাপতি বিধান চন্দ্র মাঝি, মুর্শিদাবাদ তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি ইমতিয়াজ কবীর, বর্ধমান রাসবিহারী হালদারসহ বাংলার প্রত্যেকটি জায়গায় যুব নেতারা বলিষ্ঠভূমিকা রেখে চলেছেন। ভারতবর্ষের এই যুব রত্নরা বাবরি নিয়ে রাজনীতি করে না, চাকরি নিয়ে রাজনীতি করে, এরা দাঙ্গা নিয়ে রাজনীতি করে না, এরা মানুষকে শান্তিতে চাঙা রাখতে রাজনীতি করে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সৈনিকেরা জাতপাত নয়, ধর্ম নিয়ে নয়, ভাতের জন্য রাজনীতি করে, কর্মস্থানের জন্য রাজনীতি করে।আগামীর ২১-এর লড়াইয়েও যুব সমাজ ঘাসফুলের দিয়ে শান্তির অক্সিজেন ছড়াবে বাংলার মানুষের এটাই বিশ্বাস।