পাশ করিয়ে দেওয়া এবং কলেজে ভর্তির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক,মালদা: কলেজে অনার্স করিয়ে দেওয়ার ও দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষের ছাত্র কে পাস করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র নেতার নামে। অভিযোগ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আরেক গোষ্ঠী। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকম পোস্ট, সেই পোস্ট কে ঘিরে উত্তপ্ত দুই গোষ্ঠী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদা জেলার চাঁচল ব্লক। বুধবার রাতে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় চাঁচল এলাকা। পুলিশের সামনেই চলতে থাকে দুই গোষ্ঠীর মারামারি। ঘটনায় আক্রান্ত দুই গোষ্ঠীর আটজন ছাত্রনেতা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশের লাঠিচার্জ। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে ছত্রভঙ্গ হয় দুই গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকরা।

    অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকম পোস্ট। সেই পোস্ট ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ফোনে চলতে থাকে ধুমকি ধামকি। কিন্তু বুধবার রাতে বেলায় পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুই গোষ্ঠী। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় তুমুল মারামারি। মূলত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় চাঁচল বাস স্ট্যান্ড এলাকা। পুলিশের সামনে চলতে থাকে এই ঘটনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। দুই গোষ্ঠীকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ঘটনায় আক্রান্ত হয় দুই পক্ষের আট জন কর্মী-সমর্থক। যা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে জেলা নেতৃত্ব।

    তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উপর আসা অভিযোগ সম্পূর্ণভাবেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন মালদা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায়। তার দাবি যদি অনার্স করে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তখন কেন অভিযোগ করেননি অভিযোগকারী। এই বছর শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তাছাড়া ও শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ প্রতিটি কলেজে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা চাঁচল দুইটি ব্লকের তৃণমূলের কোন গোষ্ঠী নেই।সমাজে এখন বড় ট্র্যাডিশন হয়ে গিয়েছে কোনো ঝামেলা মারপিটের ঘটনায় জড়িয়ে গেলে তারা দাবি করেন আমি তৃণমূল করি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করি।

    তবে তারা আদৌ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করে কিনা তা দলীয় খতিয়ে দেখা হবে। যদি তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী হন তাহলে তাদের বলব থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আমাদের প্রশাসনের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, প্রশাসন সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। তবে যে গন্ডগোল হয়েছে তা মূলত একটি গ্রাম্য সমাজের বিবাদের ঘটনা এখানে কিছু মানুষ রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে। আমরা দলীয় স্তর থেকে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।ঘটনাকে ঘিরে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল চাঞ্চল্য। তবে গন্ডগোলের ঘটনার সময় করোনা আবহ ভুলে সাধারণ মানুষকে দেখা গেছে নীরব দর্শকের ভূমিকায়। তবে এটি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর দুই পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে, অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।