মালদার চাঁচোলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় প্রহৃত তৃণমূল নেতা

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় প্রহৃত তৃণমূল নেতা। মারধর করে ওই তৃণমূল নেতার নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। মালদার চাঁচোলের কাবিলখানি এলাকায় ঘটেছে ঘটনাটি। ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

    জানা যাচ্ছে, আগামি ১৬ অগাস্ট গোটা রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হতে চলেছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শিবির। এই শিবিরের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পে সাধারণ মানুষ সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।  এই প্রকল্পের ফলে রাজ্যের মানুষকে সরকারি প্রকল্পে আবেদন করার সময় কোনও বিভ্রান্তির শিকার বা হয়রানির মধ্যেও পড়তে হবে না বলে সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প সম্পর্কে এলাকার বাসিন্দাদের বোঝাচ্ছিলেন এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সদস্য গুলজার আলম। ওই তৃণমূল কর্মী চাঁচলের ১ নম্বর ব্লকের অলিহন্ডা পঞ্চায়েতের কাবিলখানা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময়ে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরই ওই কংগ্রেস কর্মীদের কথার প্রতিবাদ করেন গুলজার আলম। সেই সময়ই তৃণমূল কর্মীকে আচমকাই বেধড়ক মারধর শুরু করে অভিযুক্ত কংগ্রেস কর্মীরা। মারধর করে তাঁর মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ছেলেকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন গুলজার আলমের মা-ও। ছেলেকে মারধরের ঘটনায় তিনি চাঁচোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

    তৃণমূল কর্মীকে আক্রমণ ও মারধরের ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই কংগ্রেস কোনওভাবে যুক্ত নয়। এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই সম্পর্ক ভালো নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই আক্রান্ত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ তদন্ত করে সত্যিটা সামনে আসুক, চাইছে কংগ্রেসও।