|
---|
নতুন গতি প্রতিবেদক : বছর চল্লিশের লখাই নস্কর পিতা অরবিন্দ নস্কর কুলতলির গোপালগঞ্জ অঞ্চলের কৈখালী কাছারি বাজারের বাসিন্দা। গত সোমবার কুলতলী বিট অফিস থেকে বৈধ কাগজ সহ লক্ষন সরদার ও সুজির নস্কর কে সাথে নিয়ে সুন্দরবনের বেনি ফেলি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে আনুমানিক সাতটায় নদীতে দোন ফেলে, নৌকায় নিজেদের কাজকর্মে ব্যস্ত ছিল। এমত অবস্থায় বাঘ মামা লখাই নস্করের উপর নৌকায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাশে থাকা সুজিত ও লক্ষণ নৌকার উপর থেকে বাঘ মামার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে বাঘ ও মানুষের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ চলে। অবশেষে রনে ভঙ্গ দিয়ে বাঘ বনের পথে রওনা দেয়। বাঘ বনের দিকে ফিরলে, সঙ্গে সঙ্গে নৌকা নিয়ে বাড়ির দিকে আসতে শুরু করে। খবর দেয়া হয় জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে ও কুলতলি বিট অফিসে। তারা নৌকা নিয়ে কৈখালী খেয়া ঘাটে চলে আসলে ওখানে থাকা জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসে কুলতলির জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার করেন ডাক্তার বাবু । রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ডাক্তার তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। এই মুহূর্তে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন । বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিনিয়ত এই সমস্ত ব্যক্তিরা সুন্দরবনের মাছ কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহ করতে যান। আর বারেবারে তাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বাঘ। এই সমস্ত পরিবার বিশেষ করে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী। এদের দিকে প্রশাসনের নজর মিলছে না। মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর সর্বদা এই সমস্ত আক্রান্ত পরিবারের পাশে সহযোগিতা করলেও সরকারের উদাসীনতার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না, তাতে পরিবারগুলি পথে বসতে চলেছে।