|
---|
বিশ্বদীপ নন্দী, বালুরঘাট, নতুন গতি:
২০০৪ সালের আগে পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রেলপথ বিহীন জেলা ছিল। ২০০৪ সালে প্রথম জেলার মানুষ প্রথম রেলে চড়ার সাধ পায়। তার পর জেলার নদী গুলি দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। জেলার ওপর দিয়ে চলা ট্রেন সংখ্যা একথেকে পাঁচে পৌঁছেছে কিন্তু সম্প্রতি ঘন কুয়াশার কারনে দুটি ট্রেন পয়লা ফেব্রুয়ারী পযন্ত বাতিল করা হয়েছে। যদিও এই ট্রেন দুটি যখন চলাচল করে তখন কুয়ার থাকে না। সূর্যদেব মধ্য গগনে বিরাজ করেন। জেলা বাসীর অভিযোগ এই ভাবে জেলার মানুষকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত করার চেষ্টা করছে রেল কতৃপক্ষ। এই বিষয়ে আমরা জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের বক্তব্য। এই বিষয়ে কবি অমল বসু জানান আমার মনে হয় দেশে অরাজকতার পরিস্থিতি চলছে।দিনের মধ্যভাগে অন্যান্য ট্রেন গুলিতো ঠিকঠাক চলছে। এটা বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুর কে বঞ্চিত করার মালদা ও কাটিহারের মিলিত ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি। তৃনমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অম্বরিশ সরকার বলেন আমি প্রথমেই আমার জেলার বিজেপি নেতৃত্বকে প্রশ্ন করতে চাই জেলাকে বঞ্চিত করার যে কেন্দ্রীয় সরকারের এই যে ঘৃন্য চক্রান্ত তার সম্পর্কে তাদের কি বক্তব্য। দ্বিতীয়ত্ব আমাদের মনে হয় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যেহেতু এই আসনটিকে টার্গেট করেছে তাই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মানুষকে চাপে রাখার এটি একটি ঘৃন্য চক্রান্ত বিজেপি করছে বলে আমার মনে হয়। যদিও জেলার সচেতন মানুষ কোনো দিনই কোন রাজনৈতিক চাপ মেনে নেয়নি এই ক্ষেত্রেও বিজেপির এই চক্রান্ত বুমেরাং হবে। খুব শীঘ্র আমরা তৃণমূল কংগ্রেস তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেস এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে পথে নামব। এই বিষয়ে বিশিষ্ট নাট্য ব্যাক্তিত্ব ইন্দ্রজিৎ দাস বলেন আমি প্রথমেই রেলের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাই। এর বিরুদ্ধে সমগ্র জেলা বাসীকে জেলার দাবী আদায়ের জন্য এক সাথে পথে নামতে হবে। আরএসপির যুবসংগঠন আরওইএফের রাজ্য কমিটির সদস্য সরোজ কুন্ড বলেন গত কালই বিষয়টি আমাদের চোখে পরে তারপর এই দুটি ট্রেন যাতে বাতিল না হয় তার জন্য আজ আমরা জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে আমাদের আন্দোলন শুরু করতে চলেছি। এর জেলার স্বার্থে যত দুর আন্দোলন নিয়ে যেতে হয় আমরা যাব। এছাড়াও জেলার বিরুদ্ধে চক্রান্তের প্রতিবাদে জেলার উন্নয়নের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে আন্দোলন গড়ে তোলা উচিৎ বলে আমি মনে করি। এই বিষয়ে সমাজকর্মী সুরজ দাসের বক্তব্য এটা জেলাকে রেল মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার রেলকতৃপক্ষের একটি ঘৃন্য চক্রান্ত বলে মনে করি। এখন যেখানে কুয়াশার সেই ভাবে দেখাই নেই তখন এই ভাবে জেলাকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করি। রেলকতৃপক্ষের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে তীব্র পতিবাদ জানাই। জেলা যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি সুমিত দত্ত জানান দক্ষিণ দিনাজপুরকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অনেক দিন ধরেই করছে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে জেলা কে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্তে কেন্দ্র আর একটু এগিয়ে গেল। আগামী কিচ্ছু দিনের মধ্যে এর প্রতিবাদে ও জেলায় আর রেল পরিসেবা বাড়ানোর দাবীতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। এখন দেখার জেলার মানুষের সামগ্রিক প্রতিবাদে রেল কতৃপক্ষ পিছু হটে কি না।