|
---|
মালদা: খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর । সম্প্রীতি প্রতিদিন প্রায় 3 লক্ষ ডিম উৎপাদন হবে এমনই সরকারি একটি পোলট্রি ফার্ম গরার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছিল মালদা জেলার প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগ পুরনো পোল্টি ফার্ম চত্বরে।
অভিযোগ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই পোল্টি ফার্ম করতে গিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে 300 এর বেশি গাছ। আর তাতেই গাছ কাটার প্রতিবাদে আন্দোলন নেমেছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ মালদা জেলা শাখা। সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর সাধারণ মানুষেরও এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছিল বিতর্ক।অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগ ও বন বিভাগ মালদার উদ্যোগে পুরনো পোল্ট্রি ফার্ম চত্বরে বৃক্ষ রোপন ও পরিচর্যা কর্মসূচি করা হলো। সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ মালদা শাখা।
এদিনের এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচী তে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ মালদা জেলা শাখার সম্পাদক সুনীল দাস, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ অধিকর্তা উৎপল কুমার কর্মকার, ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সুজিত কুমার চ্যাটার্জী, সহ দপ্তর জেলা আধিকারিক ও বিজ্ঞান মঞ্চের দস্যরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এর উপ অধিকর্তা উৎপল কুমার কর্মকার জানান ডিম উৎপাদনের জন্য বড় জায়গা দরকার সেইজন্য এখানে গাছগুলি কাটা হয়েছে তবে আমাদের দপ্তর বিভিন্ন সময়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করে থাকে। আজকে আমাদের এই পোল্টি ফার্ম চত্বরে গাছ লাগালাম ।আগামী দিনে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যাব ।পোল্ট্রি ফার্ম এলাকায় যেখানে মুরগি থাকবে সেই চত্বরে কোন গাছ রাখা যাবে না কারণ গাছ থাকলে যদি কোন পাখি থেকে ব্লাড ব্লু ছড়ায় তাহলে মুরগি বাঁচানো সম্ভব নয় তাই সে ক্ষেত্রে এখানে গাছ কাটা হয়েছে আমরা আগামী দিনে আরও বৃক্ষরোপন কর্মসূচী করব অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মালদা শাখার সম্পাদক সুনীল দাস জানান গাছ কাটার প্রতিবাদ বিগত দিনে আমরা করেছি আজকেও আমরা এই প্রতিবাদ করছি তবে আমাদের আন্দোলনে দপ্তর সাড়া দিয়েছে আজকে এখানে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে পাশাপাশি তারা কথা দিয়েছেন তাদের দপ্তরের বিভিন্ন ব্লক শাখায় গাছ লাগাবেন আজকের এই আন্দোলনে সংবাদমাধ্যমকেও আমরা ধন্যবাদ জানাই