|
---|
অতনু ঘোষ, মেমারিঃ এ ধরণীতে নিঃস্বার্থ, প্রকৃত ও উপকারী বন্ধু হলো বৃক্ষ। বৃক্ষের ছায়াতলেই গড়ে উঠেছিল মানবসভ্যতা। তাই বৃক্ষ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। এককথায় বৃক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব রোধ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাসহ নৈসর্গিক শোভাবর্ধনে বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। পরিবেশের দূষণ রোধ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে গাছ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখে থাকে। অথচ নগরায়ণ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন আর যন্ত্র-প্রযুক্তির মোহে অযাচিতভাবে বৃক্ষনিধন করা হচ্ছে। উজাড় হচ্ছে বন। ফলে দেখা দিচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বাড়ছে উষ্ণায়ন আর মানবসভ্যতা পড়ছে হুমকির মুখে। এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভা এলাকার নবপল্লী মাঠে বেশ কিছু তরুণ যুবক এর উদ্যোগে প্রকৃতি বাঁচানোর ছোট্ট একটি প্রয়াস দেখা গেল। এদিন প্রসেন সরদার,সঞ্জয় সরদার, গোপাল চ্যাটার্জী,দেবাশীষ ঘরামির মতো বেশ কিছু যুবক নিজ উদ্যোগে নবপল্লীর মাঠে কদম, কাঁঠাল, সোনাঝুরির মতো 25 টি গাছের চারা রোপন করে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার বার্তা দেন। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। সবশেষে একটাই কথা বলার……… গাছ বাঁচলে গাইবে পাখি/এই ধরণীর বুকে/গাছ হলো/তাই বন্ধু সবার/সুখে এবং দুঃখে’।