“তৃণমূল এখন আমিরুল, সুফিয়ান, সামাদ, শাহবুদ্দিনদের হাতে। যারা পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে জিতলে বােম ফাটায় : শুভেন্দু

“তৃণমূল এখন আমিরুল, সুফিয়ান, সামাদ, শাহবুদ্দিনদের হাতে। যারা পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে জিতলে বােম ফাটায় : শুভেন্দু

     

     

     

     

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : নন্দীগ্রামের লড়াইয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কৌশল কী তা আগেই বােঝা গিয়েছিল। সােমবার ভেকুটিয়া বাজারে তা আরও স্পষ্ট করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। এদিন শুভেন্দুর একাধিক জায়গায় জনসংযোেগ কর্মসূচি ছিল শুভেন্দুর। সকাল থেকে নন্দীগ্রামের গাঁয়ে গাঁয়ে ঘুরছেন তিনি। ভেকুটিয়া বাজারের সভায় তিনি বলেন, “তৃণমূল এখন আমিরুল, সুফিয়ান, সামাদ, শাহবুদ্দিনদের হাতে। যারা পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে জিতলে বােম ফাটায়। এই লুম্পেনদের হাতে চলে গেছে তৃণমূল।”

    উপস্থিত জনতার উদ্দেশে শুভেন্দুর বার্তা, “এরা তাে ২২টা সাড়ে ২২টা বুথের মালিক। বাকি জায়গায় আপনাদের এক হতে হবে।”

    নন্দীগ্রামবাসীদের শুভেন্দু সতর্ক করতে গিয়ে আরও বলেন, “এরা আবার এলে কিন্তু কপালে টিপ, গলায় কণ্ঠি আর কাছা দেওয়া ধুতি পরতে পারবেন না।” সেই সঙ্গেই

    শুভেন্দু গতকাল প্রকাশিত বিজেপির ইস্তেহারের একের পর এক ঘােষণা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বিজেপি সরকারে এলে চাকরি হবে, শিল্প হবে, দুর্গাপুজোর বিসর্জন

    বন্ধ হবে না। সরস্বতী পুজো করতে গেলে কাউকে মার খেতে হবে না।”

     

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৯ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে গিয়ে অভিযােগ করেছিলেন, বিজেপি বিভাজন করতে চাইছে।

    ওরা বলছে ৭০ শতাংশ ৩০ শতাংশ। দিদির দাবি ছিল, তাঁর সরকার ১০০ শতাংশের জন্য। তার পর অবশ্য সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে চণডীপাঠ করেছিলেন তিনি। ঠিক তার পরেই শুভেন্দু পাল্টা বলেছিলেন, “বিজেপি ভাগাভাগির

    রাজনীতি করে না। ৭০ আর ৩০-এর কথা জাতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন মাননীয়ার ৫০০ কোটির বুদ্ধিদাতা। যাঁকে উনি বিহার থেকে ধরে এনেছেন।”

     

    জানুয়ারি মাসে তৃণমূলের ভােট কুশলী প্রশান্ত কিশাের একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমাদের কাছে তাে ১০০ শতাংশ আছে। বিজেপিকে তাে লড়তে হবে ৭০ শতাংশের মধ্যে। লােকসভা ভােটের পর দিদি বলেছিলেন, এবারের ভােটটা পুরাে হিন্দু-মুসলমান হয়েছে। তিনি এও বলেছিলেন, যে গরু দুধ দেয় তার লাথিও খেতে পারি।

     

    এদিন তৃণমূলের একাংশের নাম করে শুভেন্দু বােঝাতে চান, এরাই আসলে তৃণমূল। উল্লেখ্য, শেখ সুফিয়ান নন্দীগ্রামে মমতার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন।