|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, মেদিনীপুর: কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হলো রবিবার বিকেলে। এদিন মিছিল কেশপুর বাজার পরিক্রমা করে সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে এসে এক পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। এই পথ সভাতে কেশপুর ব্লক নেতৃত্ব কৃষক বিরোধী, মানুষ মারা কৃষি বিলের প্রতিবাদ করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এছাড়াও এদিন পথসভা দলের প্রাক্তন নেতৃত্ব বর্তমানে বিজেপির ‘কর্মচারী’ শুভেন্দু অধিকারীকে ‘মীরজাফর’ উপাধি দেয়। শুভেন্দু অধিকারিকে নিয়ে বলেন , শুভেন্দু অধিকারী দলে থেকেও ২০১৪ সাল থেকে যে ভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করে চলছিলো তার পরিবৃত্ত সম্পন্ন হলো মেদিনীপুরে অমিত সাহের সভায়। যে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিল, আমি কারো কাছে মাথা নত করি নি সেই শুভেন্দু অধিকারী গুজরাট দাঙ্গার নায়ক রক্তে রঞ্জিত যার হাত সেই বিজেপি নেতা অমিত সাহের কাছে মাথা নত করে প্রণাম করে, যাহা বিপ্লবী মেদিনীপুরের মাটিকে কলঙ্কিত করলো। মিছিলের শেষে শুভেন্দু অধিকারীর কুশপুতুলে জুতো মারা ও আগুনে পড়ানো হয়। তৃণমূল ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি বলেন, শুভেন্দু চলে যাওয়াতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। মমতা এমন একশটা শুভেন্দু তৈরি করে। মানুষের আবেগ বেড়ে গেছে। ২০২১ শে মমতা ক্ষমতাতে আসবে।
তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে এদিন মিছিলে কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্তকে মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় নি। এই ব্যাপারে দলের ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি বলেন, উনাকে মিছিলে আসার জন্য বলাও হয়েছিল কিন্তু কেন আসেনি সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে বিষয়টি উড়িয়ে দেন। গত ১২ই ডিসেম্বর আনন্দপুর বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্তর অনুপস্থিতির ব্যাপারে প্রকাশ্যে বলেছিলেন , তিনি অনুপস্থিত কারণ তাঁকে জনতার সামনে কৈফিয়ত দিতে হবে। তবে তিনি দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন বলেই খবর।
এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি, ব্লক যুব সভাপতি আশিক ইকবাল , জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তপন চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সদস্য আনন্দমোহন দলবেরা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব বৃন্দ। এদিনের মিছিলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের উচ্ছাস ছিলো চোখে পড়ার মত।