অনুব্রত হীন বীরভূমে তৃণমূলের সবুজ ঝড় , বিপুল ভোটে জয়ী শতাব্দী ও অসিত

 

     

     

     

    খান আরশাদ, বীরভূম:

    অনুব্রত হীন বীরভূমে তৃণমূলের সবুজ ঝড় উঠল। লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এ এবারে বিভিন্ন মিডিয়া যা এক্সিট পোল দেখিয়েছিল তাতে মনে হচ্ছিল বিজেপি আগের বারের চেয়েও ভালো ফল করবে। কিন্তু পুরো সমীকরণটাই উল্টে গেল। বিভিন্ন মিডিয়ার এই এক্সিট পোলকে ফের একবার ভুল ও ভিত্তিহীন প্রমাণিত করে জনগণ তাদের রায়কে তৃণমূলের কোর্টে ঠেলে দিল। বীরভূমের গেরুয়া মাটিতে ফের উঠলো সবুজ ঝড়। বীরভূমে দুটি লোকসভা কেন্দ্র একটি হল বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র অপরটি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন গত তিনবারের বিজয়ী শতাব্দী রায়। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর তরফে কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মিল্টন রশিদ এবং বিজেপি প্রার্থী ছিলেন দেবতনু ভট্টাচার্য ।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই কেন্দ্রে প্রথমে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশীষ ধরকে। এরপর দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করা হয়।
    অপরদিকে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন অসিত মাল। বিজেপি প্রার্থী ছিলেন পিয়া সাহা এবং জোট প্রার্থী হিসেবে ছিলেন সিপিআইএমের শ্যামলী প্রধান।
    ৪ই জুন মঙ্গলবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা করা হয় সিউড়ি শ্রী রামকৃষ্ণ শিল্প বিদ্যাপীঠে। অপরদিকে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রেও ভোট গণনা করা হয় ।
    ৪ই জুন গণনা শুরুর প্রথম থেকেই বীরভূমের দুটি কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীরা লিড দিতে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত সবুজ ঝড়ে বিপর্যস্ত হয় বিরোধীরা। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় ১,৯৬,৮৮৯ ভোটে জয়ী হন।
    অপরদিকে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল ৩,২৭,২৫৩ ভোটে জয়ী হন।
    তৃণমূলের এই বিপুল সাফল্যে জেলায় জুড়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় বিজয় উল্লাস ও আবির খেলা।
    জয়ের পর শতাব্দী রায় বলেন ভোট গ্রহণ শুরু করা থেকে আমার সার্টিফিকেট নেওয়া পর্যন্ত সবকিছুই শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। বীরভূমের মানুষ মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জির উপর আস্থা রেখেছে এবং মানুষ আমাকে ফের কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। এর থেকে ভালো দিন আর হতে পারে না।
    বিজেপির পরাজিত প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য পরাজয়ের হার স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছে। তৃণমূলকেই সাধারণ মানুষ বেছে নিয়েছে।