তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লুতুব আলি, নতুন গতি : তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যায়ক্রমে যত ভোট বাড়বে কর্মীদের ততোধিক সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিলেন মা মাটি মানুষের জননেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাই ধর্মতলার জনসমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তা দেওয়ায় এদিন তৃণমূল নেত্রী তাঁর চরম সহনশীলতার পরিচয় দিলেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কলকাতার ব্রাবন ও মেয়ো রোডে তৎকালীন জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১৩ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী পুলিশের নির্মম গুলিতে শহীদ হন ও ২০০ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আহত হন। এই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবছরই শহীদ দিবস হিসেবে পালন করেন। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি পর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় এদিন একুশের জনসভাটি ঐতিহাসিক রূপ নেয়। এদিন ধর্মতলায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল দল, সাম্প্রদায়িক দল এই দলের সঙ্গে তাঁদের রাজনৈতিক যোগাযোগ চিরকালের জন্য বিচ্ছিন্ন। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার নড়বড়ে সরকার হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই সরকার ক্ষণস্থায়ী সরকার। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিজেপি দলগুলির কর্মীদের বিরুদ্ধে ই ডি ও সিবিআইকে লেলিয়ে দিচ্ছে! শত চেষ্টা করেও তৃণমূল কংগ্রেসকে দমাতে পারেনি বলে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আর ও বলেন, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আসার আগে দারিদ্র্যসীমা ৫৭% ছিল এখন তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় এই দারিদ্র্যসীমা ৮০% এ নেমে এসেছে। খুব শীঘ্রই দারিদ্র্যসীমা জিরো পার্সেন্টে নামিয়ে আনা হবে। লক্ষীর ভান্ডার এর জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। রাজ্যে জনকল্যাণমূলক যে সমস্ত প্রকল্প গুলি আছে এই প্রকল্পগুলি থেকে লক্ষ লক্ষ রাজ্যবাসী পরিষেবা পেয়ে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন রাজ্য সরকারকে। তৃণমূল কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের কর্মী থেকে শুরু করে রাজ্য স্তরের কর্মীদের নরম হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখার জন্য নির্দেশ দেন। সাধারণ ভোটার তথা সাধারণ মানুষেরাই তৃণমূলের স্তম্ভ। বিত্তবানদের দলে কোন স্থান নাই। শরতের মতো নরম, শিশুর মত মন নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন।