কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কড়া জবাব তৃণমূল সুপ্রিমোর

মহঃ মফিজুর রহমান, নতুন গতি : কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো নোটিসের কড়া জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি তাঁর যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে জানিয়ে তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট দাবি, ঘেরাওয়ের পরামর্শ কখনও আদর্শ আচরণবিধির বিরোধী নয় । গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ বোঝাতে ঘেরাও শব্দ ব্যবহার করেছি । এ প্রসঙ্গে যথাযথ যুক্তি দিয়ে তিনি জানান, ঘেরাও একটি অত্যন্ত স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মসূচি । ১৯৬০ সাল থেকেই এটি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সাথে যুক্ত ।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘেরাওয়ের বার্তা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ‘আমার বক্তব্যে বলেছি, ভোটাধিকার বাধাদান হলে ভোটারদের বিশেষ করে মহিলাদের গণতান্ত্রিকভাবে ঘেরাও করতে বলেছি। প্রতিবাদের একটা মাধ্যম ঘেরাও। ১৯৬০ থেকে ঘেরাও শব্দের প্রচলন বাংলার রাজনীতিতে। শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহের জন্য এটি ব্যবহার করা হয় । আমি এটুকু বলতে চেয়েছি, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটটা দিতে পারেন। গণতন্ত্র ও সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষা করাই আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য । আমি কোন নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করিনি ।’

    উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল কোচবিহারের একটি সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,” সিআরপি যদি গন্ডগোল করে, আমি আপনাদের মেয়েদের বলে দিচ্ছি, আপনারা একদল ওদের ঘেরাও করে রাখবেন। আর একদল ভোট দিতে যাবেন।ছবিও তুলে রাখবেন। মমতার ওই বক্তব্যের পরই তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয় বিজেপি। ওই চিঠিতে গেরুয়া শিবিরের তরফে দাবি করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য দেশের বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং তা রাষ্ট্রবিরোধী। একই সঙ্গে এই মন্তব্যের জন্য মমতার ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানায় পদ্ম শিবির।
    ৭ এপ্রিলের ওই মন্তব্যের জেরে ৯ এপ্রিল শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন। পরের দিন অর্থাৎ আজ শনিবারই মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা চায় কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পাঠানো ওই নোটিসেরই কড়া ভাষায় যুক্তি দিয়ে জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ।