একটা গাইয়ের জমজ বাছুর দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় রাজনগরে

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজনগরের গাংমুড়ি-জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রানীগ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে একটা গাই জমজ বাছুরের জন্ম দেয় । সাধারণত গরু-মহিষ এসবের একটা করে বাচ্চার জন্ম হয়। একসঙ্গে দুটো বাচ্চার জন্ম সাধারণত দেখা যায় না বললেই চলে। তাই রাজনগরের রানীগ্রামের বাবলু বাগদির বাড়িতে যখন তার বাড়ির গাইটির দুটো বাচ্চা একসঙ্গে জন্ম নিল। তখন স্বভাবতই তা দেখার জন্য উৎসুক মানুষের ভীড় জমতে থাকে। প্রতিবেশীরা কৌতুহলী চোখে হাজির হন বাবলু বাগদির বাড়িতে। তাদের সবারই একটাই কথা ছাগল বা অন্য গৃহপালিত পশুর দুটো বা তিনটে বাচ্চা তো হামেশাই দেখতে পাই।

    কিন্তু গাইয়ের দুটো বাচ্চা এটা শুনলেও কখনো চোখে দেখিনি। তাই এখানে এসে দেখে গেলাম। গৃহকর্তা বাবলু বাগদী জানান তারা খুব খুশি কারণ তারা জীবনে কোনদিন এরকম দেখেন নি। তার গাইটির আগেও একটা বাচ্চা হয়েছে। কিন্তু এবার দুটো বাচ্চা একসঙ্গে হওয়ায় তারা একটু অবাকই হয়েছেন। দুটোই বকনা বাছুর হয়েছে এবং দুটো বাছুরই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। গৃহকর্তী ঝর্না বাগদীও আনন্দে আত্মহারা। তিনি বলেন এই বকনা বাছুর দুটোকে বড় করে তুলতে পারলে ভবিষ্যতে এদের থেকে যে দুধ পাওয়া যাবে তা থেকে কিছুটা আয়ও হবে বলে জানান। আর্থিক কারণে গাভীটাকে কয়েকদিন আগেও তারা বিক্রির পরিকল্পনা করেছিলেন। ভাগ্যিস তা করেননি বলেই আজ তারা খুশির মুখ দেখতে পাচ্ছেন বলে জানান ঝর্নাদেবী। যাইহোক বাবলু বাগদির এই জমজ বকনা বাছুর দুটিকে দেখতে তার বাড়িতে প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ আসছেন। একসঙ্গে জন্ম নেওয়া এই যমজ বকনা বাছুর সম্বন্ধে রাজনগরের বি.এল.ডি.ও. ডঃ নীহার ভৌমিক জানান এটা আশ্চর্য্য বা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয় এটা হতেই পারে। একাধিক ডিম্বস্ফোটনের ফলেই এটা হয়েছে। যদিও এটা সাধারণত দেখা যায় না। খুব কম সময়েই এটা হয়ে থাকে। পশু চিকিৎসক ডাঃ রতন বিশ্বাস জানান গাভীর দুটো ডিম্বাণু একসঙ্গে স্ফোটন হওয়ার ফলেই এটা হয়েছে। যা কোন কোন সময়েই এটা ঘটে থাকে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।