|
---|
হাসান লস্কর বাবলু, কুলতলি: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলী জামতলা বাজার ব্যস্ততম স্থান যেখানে প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করার লক্ষ্যে, সাথে সাথে এই জামতলা বাসসট্যান্ড প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম। দীর্ঘ দশ বছরের অধিক যাবৎ দুই প্রতিবন্ধী যুবক বাসুদেব সাফুই ও আবু হোসেন লস্কর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যম দিয়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব প্রথমিক ভাবে সামলাচ্ছেন। এই পর্যন্ত মেলেনি তাদের দু’মুঠো অন্নের সংস্থান,মেলেনি নিজেদের পারিশ্রমিক হিসেবে দু’পয়সা। তবুও এক দিনের জন্য আসতে ভোলেনি নিজের কর্মস্থলে মনের জোর এই দুই যুবকদের। এমনই কর্মঠ দুই যুবকের প্রচেষ্টায় ব্যস্ততম স্থান যান যট থেকে রেহাই পাচ্ছে । কোন কোন সময় যেখানে পুলিশ প্রশাসন হিমশিম খায়, আর কথা না বলতে পারা দুই যুবক ইশারায় সর্বদা যারা নিত্য যাত্রী দের পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন । আর এই যুবকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে যানজট থেকে রেহাই পাচ্ছেন কুলতলীর ব্যস্ততম স্থান একদিকে কুলতলী ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজ অপরদিকে কুলতলী থানা তার পাশেই আছে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতাল ও জামতলা ভগবান চন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ ছাড়া আছে কুলতলী প্রাণকেন্দ্র যেটা জামতলা বাজার অপরদিকে বি এল আর অফিস সহ বিডিও ।
যেখানে প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার সরকারি কর্মচারীদের আনাগোনা । তারপরে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রুজি রোজগারের তাগিদেই সংযোগস্থলে আশা যাওয়া । দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার একমাত্র অবলম্বন এই দুই প্রতিবন্ধী মুখে কথা না বললেও ইশারার মাধ্যমে কাজ করেন এরা । এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে তাদের করুণ আর্তনাদ তাদের দিকে একটু তাকান যেভাবে হোক তাদের দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার মত ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে এই প্রত্যাশায় তারা তাকিয়ে।