দাড়ি শেভ করা এব ধূমপানে নিষেধাজ্ঞার রুলিং দেওয়ায় বরখাস্ত হলেন সউদি আরবের দুই বিচারক

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: দাড়ি শেভ করা বা কাটা এবং হুক্কা বা ধূমপানে নিষেধাজ্ঞার রুলিং দেওয়ায় বরখাস্ত হলেন সউদি আরবের দুই বিচারক। বুধবার এ খবর জানিয়ে গাল্ফ নিউজ লিখেছে, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল অভিযোগ এনেছে, দুই বিচারক ওই বিতর্কিত রায় দিতে গিয়ে শরীয়াহ আইনকে উদ্ধৃত করেছেন। এটা সউদি সরকারের দৃষ্টিতে গরহিত অপরাধ হয়েছে। কাউন্সিল এও বলেছে, আদালতের কাজ হল প্রাতিষ্ঠানিক। এই রায়ে ব্যক্তিগত মতামত প্রদানের কোনও জায়গা নেই। কোনও ব্যক্তি দাড়ি রাখবেন কিনা বা ধূমপান করবেন কিনা, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ ও রুচির ব্যাপার। আদালত সেই ব্যক্তিগত স্বাধীনতার পরিসরে হস্তক্ষেপ করেছে। তাই এই রায়কে কেন্দ্র করে সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বলে জুডিসিয়াল কাউন্সিলের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

     

    উল্লেখ্য, ওই রায়ে দুই বিচারক বলেছিলেন, মুসলিম পুরুষের জন্য দাড়ি শেভ করা এবং হুক্কা খাওয়া বা ধূমপান করা নিষিদ্ধ। তাই বিচারকদ্বয়কে বরখাস্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব পানিঘোলা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুজন মাননীয় বিচারককে কর্মচু্যত করা হল। অথচ সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনে বসে প্রতিনিয়ত ব্যাপক অনিয়ম,বেনিয়ম এবং চরম গরহিত কাজ করা হচ্ছে, নামিদামি মানুষদেরকে অপহরণ, গুম ও হত্যা করা হচ্ছে ,জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে অসংখ্য ইসলামি স্কলারকে, বিদেশভ্রমণে গিয়ে সুন্দরী মডেলকন্যাদেরকে নিয়ে বেলাগাম মস্তি-মউজ করছেন শীর্ষকর্তারা। এসব নিয়ে তো সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল বা সরকারি কোনও সংস্থা সউদি আরবের যুবরাজ–রাজকুমারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, কখনও মৃদু ভৎর্সনাও করার সাহস দেখায়নি।