|
---|
বাইজিদ মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার:- ভরসন্ধায় হুগলি নদীতে তলিয়ে গিয়েছিল দুই নাবালিকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটে। দু’জনকে উদ্ধার করতে হুগলি নদীতে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিও, পুলিশ প্রশাসন।তপসিয়ার পঞ্চানন তলার বাসিন্দা জাকির হোসেন। তাঁর দুই কন্যা আতিফা পারভিন (৬) ও সিতারা নাজ (৮)। দুই মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বার হয়ে ছিলেন জাকির হোসেন। রবিবার সন্ধেয় পূর্ব মেদনিপুর কুঁকড়াহাটি থেকে ভেসেলে ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা মোট ১০ জন ছিলেন। সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ ভেসেল পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটে। ওই ভেসেলটি যেখানে নোঙর করা হয় তার সামনে রাখা ছিল আরেকটি ভেসেল, তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,দুটি ভেসেলের মাঝে ফাঁক ছিল। কপালকুণ্ডলা নামের ভেসেল ডায়মন্ড হারবার যেটি ঘাটে ফিরতেই ভেসেলের সকল যাত্রীরা জেটি থেকে নামতে শুরু করেন। কিন্তু নামার সময় তা খেয়াল করেনি ওই দুই বোন। ফলে ফাঁক দিয়ে গলে হুগলি নদীতে পড়ে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যায় আতিফা ও সিতারা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই জেটি ঘাটে পৌঁছয় পুলিশ, পুরসভার আধিকারিকরা। খবর দেওয়া হয় কুইক রেসপন্স টিম, সিভিল ডিফেন্সকে।ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় খোদ ডায়মন্ড হারবার এসডিও অঞ্জন ঘোষ। সোমবার শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সারাটা দিন হুগলি নদীতে তল্লাশি চালানো হলেও ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ওই দুই শিশুকন্যার হদিশ মেলেনি। এদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে যতটা জানা যায় পৌরসভার ও যেটিঘাট কর্মচারীদের গাফিলতিতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।