কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যে প্রমানিত করে পুনরায় সসন্মানে কাজে বহাল কালিয়াচকের দুই আধিকারিক

মালদা: মালদা জেলার কালিয়াচক থানার দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে গত আগস্ট মাসের ২২তারিখে এক কোটি টাকা নিয়ে এক মাদক ব্যবসায়ী নাসেল সেখকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার আভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় জেলা পুলিশের তরফ থেকে দুই পুলিশ আধিকারিক সাব-ইন্সপেক্টর সৌম্যজিত মল্লিক ও রাকেশ বিশ্বাস কে সাসপেন্ড করে কালিয়াচক থানা থেকে জেলা পুলিশ লাইনে স্থানান্তরিত করা হয়। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) শ্রী আনিস সরকার কে ওই ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের ভার দেওয়া হয়। তদন্ত চলাকালীন জানা যায় আদতে ওই কুখ্যাত মাদক কারবারিকে তারা আদৌ থানা থেকে ছেড়ে দেন নি, ওই মাদক কারবারিকে মালদার পাশের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার রঘুনাথ গঞ্জ থানার একটি কেসের সূত্রে কালিয়াচক থেকেই গ্রেপ্তার করে আদালতে পেস করা হয়েছে। আরও জানা যায় ওই দিন জঙ্গিপুর ও মালদা জেলার বিশেষ পুলিশ দল ওই মাদক কারবারি কে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে মালদা থেকে জঙ্গিপুরের রঘুনাথগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সুত্র মাধ্যমে জানা যায় জেরার সময় ওই মাদক কারবারি জানিয়েছে ২০১৪ সাল থেকে সে মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত, শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা বড় শহর গুলিতে সে মাদক সরবরাহ করে আসছে। তার নামে বেশ কয়েকটি মাদক পাচারের কেস আছে কিন্ত কোনোদিন সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে নি।

    সে ধরা পরার পরে তার গ্রুপের বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী নানা সামাজিক মাধ্যমে এই মিথ্যে রটনা রটিয়ে পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যাতে কালিয়াচকে তাদের মাদক ব্যবসা আগের মতই রমরমিয়ে চলতে থাকে। অন্য দিকে বিশেষ সূত্র মাধ্যমে জানা যায় বিভাগীয় তদন্ত সম্পূর্ণ হলে রিপোর্টে ওই দুই পুলিশ আধিকারিক সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমানিত হন, এবং দুজনেই সসন্মানে পুনরায় কালিয়াচক ও মালদার সদর থানা ইংরেজ বাজারে পুনরায় বহাল হয়েছেন।