|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :বীরভূমের পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত ভোলাগড়িয়া গ্রামে থাকা একটি পাইপ ফ্যাক্টরিতে কর্মরত দুই শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। মৃত শ্রমিকদের আত্মীয় এবং এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই পাইপ কারখানাতে কোন ঘটনা ঘটছে যার ফলেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং তারপর তারা মারা গেছেন। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওই পাইপ ফ্যাক্টরির মালিক পক্ষের তরফ থেকে।
জানা যাচ্ছে, পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত ওই পাইপ ফ্যাক্টরিতে মোট ১২ জন কর্মী কাজ করেন। বর্তমানে যাদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিন জনের মধ্যে মারা গিয়েছেন দুজন। মৃত দুই শ্রমিকের নাম শুভজিৎ বাগদি এবং শেখ মিঠুন। মৃত এই দুজনই প্রথম দিকে শ্বাসকষ্ট এবং এবং চোখে কম দেখার পর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর তাদের পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই তাদের মৃত্যু হয়। যদিও তাদের মৃত্যুর শংসাপত্রে এমন কোন কিছু লেখা হয়নি, যার জন্য ওই কারখানার কোন ঘটনাকে দায়ী করা যেতে পারে।তবে মৃত শুভজিৎ বাগদীর জামাইবাবু অনুপ বাগদীর দাবি, তাঁর শ্যালক ওই কারখানায় কাজ করতেন এবং সেখানে কর্মরত অবস্থাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। তাদের অনুমান, ওই পাইপ ফ্যাক্টরিতে কোন বিষাক্ত কিছু গ্যাস লিক বা অন্য কোনও ঘটনা ঘটে যাওয়ার কারণেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে।
অন্যদিকে, ওই ফ্যাক্টরিতে কর্মরত এক কর্মী দয়াময় বাগদী জানিয়েছেন, তার কোনো শারীরিক অসুবিধা হয়নি। তবে তিনজনের হয়েছিল। যাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুভজিৎ মারা যান ৭ জুলাই। তাকে পাঠানো হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ শেখ মানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তাদের এই কারখানা ২০১১ সাল থেকে চলছে এবং কারখানার কারণে অসুস্থ হওয়ার মতো ঘটনা কোনওদিন ঘটেনি। সম্প্রতি এই কারখানার ১২ জন কর্মীর মধ্যে তিন জন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু তাদের মৃত্যুর কারণ হিসাবে মেডিক্যাল রিপোর্টে অন্য কোনও কারণ উল্লেখ রয়েছে। কারখানার কারণে মৃত্যু হয়েছে এমনটা কোথাও উল্লেখ নেই।
তবে যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে আমদের কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা এখানে এমন কোনও কেমিক্যাল বা কিছু ব্যবহার করা হয় না, যাতে কারও ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আমরা ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছি যাতে এই বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজন পড়লে কারখানায় এসে তারা তদন্ত করতে পারেন।