উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম ক্ষেতমজুরের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা আদক এর পাশে দাঁড়ালেন সভাধিপতি।

লু তুব আলি : উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম ক্ষেতমজুরের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা আদক এর পাশে দাঁড়ালেন সভাধিপতি। উচ্চমাধ্যমিকে সমগ্র পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রথম রাজ্যের মধ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন প্রিয়াঙ্কা আদক। ফল প্রকাশের অব্যবহিত পর থেকেই প্রিয়াঙ্কা আজকের গোটা পরিবার উচ্চশিক্ষার জন্য দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। খেতমজুর ঘরের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা আদক সাফল্য পাওয়ায় পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারা প্রিয়াংকার বাড়িতে এসে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন এবং তার উচ্চশিক্ষার জন্য এককালীন একটা টাকা জেলা পরিষদ থেকে ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। বর্ধমান ১নং ব্লকের বংপুর চাষী মানাতে এক চিলতে ঘরে থাকেন প্রিয়াঙ্কা। তাদের একটিই মাত্র ঘর। পড়ার কোনো ঘর নাই। বাবা বিমল আদক ক্ষেতমজুর। মা ঝুমা আদকও তাই। চরম দারিদ্রতাকে উপেক্ষা করে প্রিয়াঙ্কা কঠোর অধ্যবসায়ের ফলশ্রুতিতে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তিনি ৪৯১ পেয়েছেন। তিনি বিবেকানন্দ কলেজে ভূগোলে অনার্স নিয়ে ভর্তি হতে চান। ভবিষ্যতে গবেষণা করে অধ্যাপনার দিকে তিনি যেতে চান বলে জানান। পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারা এই প্রতিবেদককে জানান প্রিয়াঙ্কা জেলা পরিষদের আবেদন করেছেন আমরা চেষ্টা করছি তাকে ও মাধ্যমিকে একজন রিকশাচালক এর ছেলে ভালো ফল করেছে এই দুজনকে ইজেলা পরিষদ থেকে এককালীন কিছু টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। বর্ধমান পৌরসভার পৌর পিতা পরেশ চন্দ্র সরকার জানান তিনি বিবেকানন্দ কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রিয়াঙ্কার সমস্ত কিছু খরচ কলেজ থেকে ফ্রী করে দেওয়া হবে। চেষ্টা করা হচ্ছে পৌরসভার থেকেও কিছু টাকা ব্যবস্থা করে দেওয়া। বর্ধমান বিদ্যার্থী গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পামেলা চট্টোপাধ্যায় জানান, কলেজের বই পত্র আমরা কিনে দেয়ার ব্যবস্থা করছি। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকে সহযোগিতা করার জন্য আমাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে তারাও প্রিয়াঙ্কা মাদককে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে এসেছে।