উদীয়মান সংগীত শিল্পী মীর সানিয়া শবনম

শেখ সিরাজ : উদীয়মান মুসলিম তরুণী মীর সানিয়া শবনম সঙ্গীতে ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের গোহালদহ গ্রামে এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম।পিতা মীর মহম্মদ আলি ও মাতা সাহিদা খাতুনের অদম্য উৎসাহ, উদ্দীপনা ও প্রেরণায় সানিয়া শবনম সংগীতে আরও পারদর্শিতা লাভ করছে।সে তারকেশ্বর ডিগ্রী কলেজের বি. এ ফাইনাল ইয়ারের সংগীত বিভাগের ছাত্রী। সংগীতে হাতেখড়ি স্থানীয় খানজাদাপুরের আকবর আলি খাঁন এর কাছে ।বয়স ২২ ছুঁইছুঁই। সানিয়ার যেমন সুরেলা কণ্ঠ তেমনি সুদর্শনা ।হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল সানিয়ার চোখে শুধু সঙ্গীতেরই স্বপ্ন। সঙ্গীতই তার ধ্যান ,জ্ঞান ,সাধনা। সঙ্গীতের পাশাপাশি নাচ ও আবৃত্তিও করে।রবীন্দ্রনৃত্য ও ক্রিয়েটিভ নৃত্য ও করে মীর সানিয়া শবনম।

    গ্রামগঞ্জ ও মফস্বল শহরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র, নজরুল, আধুনিক, ক্লাসিক্যাল ও লোকগীতি সংগীত পরিবেশন করে দর্শক- শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে সানিয়া। ভারতীয় সংগীত একাডেমী -তে চতুর্থ বর্ষ শেষ করে বর্তমানে কলকাতা চারুকলা সোসাইটি – র অষ্টম বর্ষের ছাত্রী সে।পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের ঝাপানডাঙ্গা, চকদিঘি, শুঁড়েকালনা, জামালপুর, বেত্রাগড় , মশাগ্রম,জৌগ্রাম,
    প্রভৃতি এলাকায় সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।জামালপুরে শীতকালীন মেলা ও উৎসবের অনুষ্ঠানে মুকুল,সৃজনী,বিবেকানন্দ সেবা সংঘে রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল গীতিতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান লাভ করে সকলের প্রশংসা লাভ করে। এছাড়া আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বহু পুরষ্কার পেয়েছে সানিয়া শবনম। দাদু মীর লিয়াকত আলি ও ঠাকুমা মীর মনোয়ারা বেগম নাতনি সানিয়া শবনমের গানে অভিভূত। তাঁরাও সানিয়াকে বিপুল উৎসাহ দেন। সানিয়া শবনম জানাল – ভবিষ্যতে সে ভালো গান গেয়ে বেতার ও দূরদর্শনে সুনাম অর্জন করতে চায়।নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সানিয়া শবনম সংগীত জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুক এটাই এলাকার জনগণের ঐকান্তিক ইচ্ছা।