আনিস খান হত্যাকান্ড: ছাত্রনেতার বাড়িতে উমর খালিদের বাবা; দিলেন পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আনিস একা নন। তাঁর পাশে আছে গোটা দেশ। মঙ্গলবার আমতার মৃত ছাত্রনেতার বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে এই বার্তাই দিলেন উমর খলিদের বাবা সৈয়দ কাশিম রসুল ইলিয়াস। এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে তাঁর এই পরিণতি বলে অভিযোগ করেন তিনি। দাবি করেন, আনিসের হত্যাকান্ড ছোট ঘটনা নয়। এর পিছনে বড়ো চক্রান্ত রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর আনিসের বাড়িতে আসা উচিত বলে মনে করেন ইলিয়াস।

    উমর খলিদের বাবা বলেন,’এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিয়েছিল। শুধু আনিস নয় উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি-সহ বিভিন্ন জায়গাতে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তথ্য প্রমাণ সাজানো।’ আনিসের বাবা শুরু থেকে সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। রাজ্য পুলিশের উপরে ভরসা নেই তাঁদের। সেই সুরই ইলিয়াসের গলায়। তিনি বলেন,’রাজ্য সরকারকে লিখিত আবেদন জানাব। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ভার যেন সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়। আনিসের পরিবারের লোকেরাও তাই চাইছেন।’ সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, পুলিশ যেভাবে তদন্ত করছিল তাতে স্পষ্ট এই খুনের ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগসূত্র আছে। এই বিশেষ তদন্তকারী দলের ক্ষমতা, এক্তিয়ার এখনও স্পষ্ট করেনি রাজ্য সরকার। তিনজন সাসপেন্ডেড অফিসারকে কী কারণে সাসপেন্ড করা হল তা-ও স্পষ্ট করেনি সরকার।

    পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ইলিয়াস জানান, এই লড়াই এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। এ রাজ্যে যাঁরা সংগঠনের নেতৃত্ব রয়েছে তাঁরা আনিসের বাড়ির লোকের পাশে থাকবে। কোনও অবস্থায় তাকে দরকার পড়লে তিনিও আসবেন।

    এ দিন সকালে সাসপেন্ড করা হয়েছে হাওড়ার আমতা থানার দুই পুলিশকর্মীকে। বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এক হোমগার্ডকে। আনিস-মৃত্যুর রাতে এই তিনজনের ডিউটি ছিল। পুলিশের দাবি, তদন্তের স্বচ্ছতার জন্য এই পদক্ষেপ। আনিসের মৃত্যুর তদন্তভার প্রথমে হাতে নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাওড়া গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের জন্য সিট গঠনের নির্দেশ দেন। তিন সদস্যের তদন্তকারী দলে রয়েছেন রাজ্যের এডিজি (সিআইডি) জ্ঞানবন্ত সিংহ, ডিআইজি (সিআইডি) মিরাজ খালিদ এবং বারাকপুরের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের জন্য তদন্তকারীদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।