প্রশাসনিক কড়া নিরাপত্তা মধ্যে, স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষামূলক ভাবে তাঁদেরই করোনা প্রতিষেধক টিকাকরণ শুরু হলো আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, নদীয়া: দীর্ঘ অপেক্ষা, জল্পনার পর অবশেষে আজ অদৃশ্য শক্তির লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে রক্ষাকবচ হিসেবে তরল ঔষধ রক্তে মিশলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ন’টায়! আশা কর্মী, এ এন এম, এফ ডি এস এইরকমই নানা স্বাস্থ্যপরিসেবা সঙ্গে যুক্ত এবং বিভিন্ন হাসপাতাল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিযুক্ত বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়! স্থানীয় থানার ওসি, জেলা পুলিশের এসডিপিও, বিডিও, এসডিও, সার্কেল ইন্সপেক্টরের মতো বিভিন্ন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা নজরদারি বহাল রেখে ছিলেন, সাধারণ মানুষের জেলার দু একটি হাসপাতালে স্ক্রীনের এর মাধ্যমে এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শোনানো হয়। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশর কিছুটা দেরিতে হলেও এগারোটা নাগাদ শুরু হয় ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই ঘটনা। আমরা উপস্থিত ছিলাম শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যেখানে, গতকাল বিকালে হাসপাতালেরই ইমিউনিসেশান রুমে বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিলো 50 টি ফাইল।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় যা দিয়ে 500 জনের প্রতিষেধক দেওয়া যাবে। আজ প্রথম দিন হিসেবে দশটি ফাইল ব্যবহার করে ১০০ জনকে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল হয়েছে আজ। যার মধ্যে 39 জন মহিলা এবং২৭ জন পুরুষ মোট ৬৬ জন দুপুর একটা পর্যন্ত দেওয়া হলেও, উপস্থিতির হার দেখে বেশ কিছু স্বাস্থ্য কর্মী অনুপস্থিত থাকতে পারে বলেই সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল সেই সময় । তালিকায় নাম থাকলেও দেখা মিললো না শান্তিপুর পৌরসভার দুই মেডিকেল অফিসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তারের। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী এক জন সাফাই কর্মী কে দিয়ে টিকাকরণের প্রথম কাজটি শুরু হয়। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের গ্রুপ ডি সাফাই কর্মী তপন হাজরা, দ্বিতীয় সাফাই কর্মী খোকন হাড়ি, তৃতীয় ড: সুব্রত শীল, চতুর্থত সুপার ড: জয়ন্ত বিশ্বাস, সুকুমার ঘোষ এভাবেই একে একে 10 জন করে টিকা গ্রহণ করেন। টিকা নেওয়ার পর আধঘন্টা তাদের উপর বিশেষ নজরদারি রাখেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তাগন। তবে দুপুর একটা পর্যন্ত কোনো শারীরিক সমস্যার কথা জানা যায়নি ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে। তবে হয়তো এই কারণেই আগামী সোমবার দ্বিতীয় দফায় টিকা দেওয়ার তালিকা থেকে হয়তো বাদ পড়বেন না কেউই এমনটাই আশাবাদী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। টিকা করন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে ভার্চুয়াল ভাবে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর নদীয়া জেলার দশটি টিকাকরণ কেন্দ্রের মতোই সারা রাজ্যে ২০৪ টি টিকাকরণ কেন্দ্রের খোঁজখবর নেন। নদীয়া জেলার সদর, রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, কল্যাণী জে এন এম, নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল,কালিগঞ্জ ,করিমপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, তেহট্ট র মতো দশটি এলাকায় প্রায় ৮০% স্বাস্থ্যকর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায় বিশেষ সূত্র অনুযায়ী।