আমেরিকার মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে বসতে চলেছে স্পেশাল অলিম্পিক্সের ইউনিফাইড ফুটবলের আসর

নিজস্ব প্রতিবেদক:- আগামী জুলাই মাসে আমেরিকার মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে বসতে চলেছে স্পেশাল অলিম্পিক্সের ইউনিফাইড ফুটবলের আসর। এই আসরে ভারতের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন বীরভূমের পাপিয়া মুর্মু। আদিবাসী এই তরুণীর এমন সুযোগে উচ্ছ্বসিত এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে জেলার মানুষ।পাপিয়া মুর্মু বীরভূমের সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত, নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবুনি গ্রামের বাসিন্দা। ফুটবলের পাশাপাশি সমানতালে বজায় রেখেছে নিজের পড়াশোনা। বর্তমানে সে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পাপিয়া নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ফুটবলার। পাপিয়ার বাবা নিজেদের আদিবাসী পাড়ায় একটি ছোট্ট মুদিখানার দোকান চালান। তবে এই জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশন। পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশনের তরফ থেকে আগামী দিনে তার আমেরিকা যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।পাপিয়ার, ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে। ছোট থেকেই তিনি শিক্ষক তথা ফুটবল কোচ মৃণাল মালের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন। জাতীয় দলের হয়ে স্পেশাল অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়ার পর ললিতা দেবনাথের কাছেও কোচিং নেবেন পাপিয়া৷অন্যদিকে, বিদেশের মাটিতে খেলার সুযোগ পাওয়ার পর পাপিয়ার প্রস্তুতি আরও জোরদার হয়েছে। ভোর পাঁচটা থেকে গ্রামের একটি মাঠে চলছে তার প্রস্তুতি।পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশনের সহযোগিতায় এই স্পেশাল অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বীরভূমের চারজন প্রতিযোগীর নাম উঠে এসেছিল। তবে তাদের মধ্যে পাপিয়া মুর্মু গুজরাটে ক্যাম্পে গিয়ে নিজের পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ পান। সেখানেই তাকে বেছে নেওয়া হয় ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়ার পর, পাপিয়ার পাসপোর্টের ব্যবস্থা করছে সর্বশিক্ষা মিশন।